• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ছোট ভাই কারাগারে  


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:  ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৭:১৪ পিএম
বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ছোট ভাই কারাগারে  

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দা’র কোপে তোফায়েল আহমেদের ৫২) মৃত্যুর ঘটনায় ছোট ভাই হোসেন আহমদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বিকেলে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

এরআগে বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার দমদমা দমদমা দিঘিরপাড় এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও অভিযুক্ত হোসেনকে আটক করে। 

রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

নিহত তোফায়েল একই এলাকার আজিজ উল্যা দফাদার বাড়ির মমতাজুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে থাকলেও তারা ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থাকেন। ঘাতক হোসেন তার আপন ছোট ভাই। সে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এশার নামাজ পড়ে তোফায়েল স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে যান। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দমদমা দিঘিরপাড়ে হোসেন তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তার দু’পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের ছাড়িয়ে দেয়। পরে হোসেন ঘরে চলে যায়। একপর্যায়ে চিৎকার দিতে দিতে বাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে তোফায়েল মারা যান। 

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রায় তোফায়েল ও হোসেনের সঙ্গে ঝগড়া হতো। বুধবার সকালে তোফায়েলের সঙ্গে হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় হোসেন বাড়িতে এলে জেসমিন তার কাছে বিচার দেয়। এসময় জেসমিন জানায় তোফায়েল তাকে মারধর ও গলা টিপে ধরে। এসব শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় হোসেন। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাইকে হত্যা করেন তিনি। 

তোফায়েলের বোন হোসনেয়ারা বেগম ও ভাতিজি ফারজু আক্তার জানান, তোফায়েল মানসিকভাবে অসুস্থ। তারপরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হোসেন তার স্ত্রীর কথায় প্ররোচিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা দুইজনেরই বিচার চেয়েছেন। 

হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম জানান, তোফায়েল তাকে লাঠি দিয়ে মেরে গলা টিপেও ধরেছে। হোসেন বাড়িতে এলে তিনি তাকে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি (হোসেন) দা'র গোড়ালি দিয়ে তোফায়েলের পায়ে আঘাত করে। হোসেন ঘরে আসার কিছুক্ষণ পর শোনেন তোফায়েল মারা গেছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন সোনালীনিউজকে বলেন, হত্যার ঘটনায় হোসেনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সৌপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। নিহত তোফায়েলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!