• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

শশুর বাড়িতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বৌ-শাশুড়ি কারাগারে 


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:  জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
শশুর বাড়িতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বৌ-শাশুড়ি কারাগারে 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়িতে হারুনুর রশিদ হারুন (৩৩) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে হারুনের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী (১৯), শাশুড়ি খুকি বেগম (৪৮) ও ভায়রা জুয়েলকে আসামী করা হয়েছে। 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মামলায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া সোনালীনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকালে হারুনের বোন জোৎস্না বেগম বাদি হয়ে রায়পুর থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। 

হারুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের নবীগঞ্জ এলাকার মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় কসাই ছিলেন। রসুলগঞ্জ বাজারে মাংসের দোকান আছে। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এদিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে রায়পুরের চরবংশী ইউনিয়নের মনছুর আহম্মদের মেয়ে আমেনা আক্তার বৈশাখীর সাথে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আড়াই মাস আগে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। 

হারুনের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে হারুনের স্ত্রী বৈশাখী হারুনের সাথে খারাপ আচরণ করতো। বৈশাখী ঠিকমতো সংসার করতো না। অন্য ছেলের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুন তার শ্বশুর বাড়িতে ছোট শালিকা প্রিয়ার জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যায়। সেখানে তার ভায়রা জুয়েলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া হয়। রাত ৩ টার দিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদেরকে হারুনের মৃত্যুর সংবাদ দেয়। 

তারা জানায়, হারুনকে তার ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে। হারুনের কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!