কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামানিক সহ তিনজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ আগস্ট) আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার গোডাউন মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামানিক (৩৫) দলীয় মিটিং শেষ করে
বাড়ি ফেরার পথে গোডাউন মোড় এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেঅস্ত্র ও রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামানিকের পায়ে গুলি ও মাথায় মারাত্বক যখম হয়। এসময় বেলাল হোসেন (৩৬) ও শ্যামল সরদার নামে আরও দুই কর্মী আহত হয়।
এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তাদের রেফার্ড করেন। বর্তমানে আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এর মধ্যে ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামানিকের অবস্থা আশংকাজনক।
আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ভেড়ামারা উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকার দুলাল চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে।
আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বেলাল হোসেন জানান, আমরা বুধবার রাত ১১ টার দিকে মিটিং শেষ করে আমাদের নেতা সঞ্জয় দাদা কে বাড়ি দিয়ে আসার পথে আমরা গোডাউন মোড়ে পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের নেতা শোভনের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন আগ্নেঅস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় আমাদের নেতা সঞ্জয় দাদা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার মাথায় কয়েকটি কোপও লেগেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহুরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তির ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনার পর জাসদ যুবজোট নেতা শোভনকে ভেড়ামারা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
সোনালীনিউজ/আরআই/এসআই







































