• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বিয়ের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশনে মাধ্যমিক শিক্ষিকার


জেলা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:০৫ এএম
বিয়ের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশনে মাধ্যমিক শিক্ষিকার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে টানা দুই দিন ধরে অনশন করছেন এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তিনি এ কর্মসূচি পালন করছেন।

ঘটনাটি ঘটে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফলের বাড়িতে যান অনশনকারী শিক্ষিকা সালমা খাতুন। এ সময় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আমিরুল ইসলাম সুফল বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।

অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম সুফল চেংগাড়া গ্রামের আনারুদ্দীনের ছেলে এবং চেংগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অপরদিকে সালমা খাতুন গোপালনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।

অনশনকারী সালমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সুফল। চাকরি পেলে বিয়ে করবেন—এমন আশ্বাসে তিনি অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর এখন সুফল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি এখন শিক্ষকতা করছি। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি নয়। ফোনও ধরছে না। আমি বিয়ে ছাড়া এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে আমার লাশ এই বাড়ি থেকেই বের হবে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফল মোবাইল ফোনে জানান, সালমা খাতুনের সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি দাবি করেন, বিয়ের জন্য তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে এবং তিনি এ বিয়েতে রাজি নন। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকা সম্ভব ছিল না।”

এ বিষয়ে আমিরুল ইসলামের খালাতো ভাই বাবু জানান, দুজনেই শিক্ষক হলেও তাদের সম্পর্কের বিষয়ে পরিবার নিশ্চিত নয়। এক পক্ষ সম্পর্কের দাবি করলেও অন্য পক্ষ তা অস্বীকার করছে। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এম

Wordbridge School
Link copied!