ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হয় সমগ্র দেশ। জানাজার সময় হাদির বড় ভাই ড. আবু বকর সিদ্দিক জাতীয় সংসদ দক্ষিণ প্লাজায় উপস্থিত জনতার সামনে বলেন, “ওসমান হাদির সন্তানের এখন ৮ মাস বয়স। সন্তান হওয়ার পর সে আমাকে বলেছিল, ভাই, আমার সন্তানের জন্য একটি নাম নির্বাচন করুন, যেই নামের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা থাকবে এবং সাহসিকতার পরিচয় বহন করবে। সেই নাম দিয়েছি ফিরনাস। আজ ওর সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।”
ড. আবু বকর সিদ্দিক জানান, পরিবারে সবচেয়ে ছোট ভাই ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। আজ তার লাশ কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। তিনি জনগণকে জানান, তার একমাত্র দাবি, যে খুনিদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
শরিফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় তিনি মারা যান।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ দক্ষিণ প্লাজা এবং মানিক মিয়া এভিনিউ লাখো মানুষে ভরে যায়। জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
হাদির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
জানাজার এই মুহূর্তে পরিবার ও দেশবাসীর চোখে অশ্রু, হৃদয়ে শোক এবং সর্বত্র বিরাজ করছে প্রিয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
এসএইচ







































