• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের ৫৭ পশুর হাট


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জুন ১৩, ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের ৫৭ পশুর হাট

সিরাজগঞ্জ: কুরবানী আর মাত্র তিনদিন বাঁকী। এইমধ্যেই সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আর এবার জেলায় ৯ উপজেলার ৫৭ হাটে এবার কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেচা-বিক্রিও শুরু হয়েছে এসব হাটে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার নানা অভিযোগ রয়েছে।

জেলার তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমজমাট পরিবেশ। হাটে সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরুর দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ১৭ হাজার ১৩৪টি খামারে সোয়া ছয় লাখ কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ গরু ৩৩ হাজার ৬০৫টি, গাভি গরু ১৫ হাজার ৭১৭টি, মহিষ তিন হাজার ৬৮১টি, ছাগল তিন লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫টি ও ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি। এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার ৫৭টি স্থানে হাট বসেছে। যার মধ্যে অস্থায়ী হাট রয়েছে ২৮টি।

এ হাটে গরু কিনতে আসা শামীম হোসেন  বলেন, আমরা যারা কোরবানি দেই, আমাদের অনেকের গরু রাখার জায়গা থাকে না। তাই প্রতি বছর ঈদের দু-তিন দিন আগেই কোরবানির পশু কিনে থাকি। আজ শুধু দরদাম করছি। গত বারের তুলনায় এবার হাটে বেশি পরিমাণে দেশি জাতের গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

বগুড়া থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি মাহবুব সেখ। তিনি বলেন, চান্দাইকোনা হাটে ঢাকার ব্যাপারী আসে। এ জন্য ১০টি ষাঁড় এনেছিলাম। অনেক দামাদামির পর সাতটি ব্যাপারী ও তিনটি সাধারণ ক্রেতারা নিয়েছেন। তবে গো-খাদ্যের বেশি থাকায় ততোটা লাভ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

এছাড়াও সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের হাটগুলোতে আসা ব্যাপারী-ইজারাদারেরা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির হাটে আসা দেশি জাতের গরুর সংখ্যা বেশি। তবে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বাড়ায় গরুর দাম আগের চেয়ে একটু বেশি।

চান্দাইকোনা হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনে কোরবানির পশু এসে জড়ো হয়েছিল হাটে। ইতোমধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনায় হাট জমে উঠেছে। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের হাটে অন্তত দেড় হাজার গরু বিক্রি হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে হাটে ক্রয়-বিক্রয় না হয়। সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালিত ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম তদারকি করছেন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় যেসব পশুর হাটের ডাক (ইজারা) হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইজারা ছাড়া যদি কোথাও হাট বসানো হয় বা হাটে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়, তবে সেটার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!