খুলনা: খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার সোনার বাংলা গলির বাসিন্দা মহসিন কলেজের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা কদরুল হাসানের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে আহমেদ হামিম রাহাত এর নেতৃত্বে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কদরুল হাসান পড়ালেখার পাশাপাশি নগরীর শেখপাড়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করেন। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন অগ্রসেনানী হিসেবেও তার ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত ত্রাণ সংগ্রহের কাজেও রাত-দিন পরিশ্রম করে নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় কাজ করেছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল অনুমান ৩টার দিকে কদরুল হাসান বাসা থেকে বের হয়।
তার স্ত্রী বলেন, সন্ধ্যা সাতটার সময় তার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বন্যার্তদের ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি। খুব দ্রুত বাসায় ফিরবো। পরবর্তীতে তিনি বাসায় ফেরেনি। রাত অনুমান ১১টার সময় আমি আমার স্বামীকে ফোন দিলে এক বার তার নাম্বার খোলা পাই। কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি। তারপর থেকে নাম্বার বন্ধ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পাইনি। এরপর থেকে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সম্ভাব্য সব স্থানে তাকে খুঁজেছি। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি।
সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমে কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি। এছাড়া রাতে আবার পুলিশের পরামর্শে কেএমপির খুলনা সদর থানায় আরও একটি জিডি করা হয়। কেননা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাস্থল খুলনা থানা হওয়ায় পুলিশ এমন পরামর্শ দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কদরুল হাসানের সন্ধান পেতে প্রশাসনের তথা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী, কদরুল হাসানের পরিবার এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :