• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বালিশ চাপা দিয়ে নববধূকে হত্যা, স্বামী আটক


নীলফামারী প্রতিনিধি জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০২:২১ পিএম
বালিশ চাপা দিয়ে নববধূকে হত্যা, স্বামী আটক

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত স্বামী রানাকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। 

এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শহরের কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, গত ১৬ দিন আগে কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজি পাড়া গ্রামের মৃত বাবলু মিয়ার ছেলে রানা। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো চললেও পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মাঝে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। শনিবার গভীর রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন তার স্ত্রী মুক্তাকে।

এরপর পরই রানা ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে মুক্তাকে হত্যার বিষয়টি জানান এবং মুক্তার বাবার বাড়িতে খবর দিতে বলেন। একথা শোনার সাথে সাথে বোন লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘রানা তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাতা রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। গত শনিবার রাতেও আমার মেয়ে মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।’

জাহেদা বেগম বলেন, ‘যেহেতু রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, সেহেতু পরিকল্পিতভাবে তারা আমার মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাইছি।’

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে রানা নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। নিহতের পরিবার থেকে মামলা দায়ের করলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এসএস 

Wordbridge School
Link copied!