• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো খুলনা সরকারি ব্রজলাল কলেজের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শেখ বাড়ি 


খুলনা ব্যুরো  ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো খুলনা সরকারি ব্রজলাল কলেজের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শেখ বাড়ি 

খুলনা: খুলনা সরকারি ব্রজলাল কলেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও গতকাল রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ‘শেখ বাড়ি’।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল বেলা সাড়ে ১২ টায় খুলনার সরকারি ব্রজলাল কলেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

মো. রাকিব হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদীদের যা কিছু আছে সব ভেঙে দেওয়া উচিত। যাতে পরবর্তীতে কেউ ফ্যাসিবাদী আচার-আচরণ করতে ভয় পায়। তাই সারাদেশের মতো খুলনার বিএল কলেজেও আজ দুপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এছাড়া গত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দিয়ে খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। বাড়ির প্রধান ফটক, দেয়ালসহ বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

খুলনায় বাড়িটি ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত এ বাড়িতে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বিসিবির সাবেক পরিচালক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন। মূলত ওই বাড়ি থেকেই পদ্মার এপারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো।

গত বছরের ৪ আগস্ট প্রথম দফায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ছাত্র-জনতা। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। দরজা, জানালা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই ছিল না। ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বাড়িটিতে শুধু ইটপাথরের কাঠামোই অবশিষ্ট ছিল। কেউ যেন ভেতরে প্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য প্রধান ফটকটি টিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। প্রধান ফটকসহ সবকিছুই বুধবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন এ কথা শোনার পর বুধবার বিকেলের দিকে ওই বাড়ি ভাঙচুরের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রথমে রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে টিনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর পাশেই ঢাকা সিটি করপোরেশনের গ্যারেজ থেকে দুটি বুলডোজার নিয়ে এসে ভাঙচুর শুরু করা হয়। ভোর চারটা পর্যন্ত এই ভাঙচুর চলে।

ভাঙচুরের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। তাদের অধিকাংশই মুঠোফোনে ছবি, ভিডিও ও সেলফি তুলে মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দী করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে শেখ বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনের রাস্তায় উৎসুক মানুষের ভিড়। বাড়ির অবশিষ্ট অংশটুকু ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। আবার অনেকেই ভেঙে দেওয়া বাড়ির রড খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। 

এআর

Wordbridge School
Link copied!