ফাইল ছবি
বরগুনা: আঘাতের চিহ্ন বলতে কামড়ের দাগ! কাদামাখা মরদেহ পড়ে ছিল বসত ঘরের পিছনের ঝোপঝাড়ে। এমনি রহস্যময় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বরগুনা শহরের ১নং ওয়ার্ড কালিবাড়ী এলাকায়। নিহতের স্বজনদের দাবী মেয়ের ধর্ষণ মামলার ঘটনায় প্রতিপক্ষর মেরে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ বলছে পরিকল্পিত হত্যকান্ড এটি।
নিহত ব্যক্তির নাম মন্টু চন্দ্র দাস। বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি এলাকার মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। মন্টু বরগুনা মুরগী বাজারের জাকিরের দোকানের কর্মচারী ছিল।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ ধারনা করছে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে কোন একসময় মন্টুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, নির্ধারিত সময়ে বাড়িতে না আসায় মন্টুর মোবাইল ফোনে কল দিলে বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে মোবাইলের রিংটোনের শব্দ শুনতে পায়। সেখানে গিয়ে মন্টুর মরদেহের পাশেই মোবাইল ফোন পড়েছিল আর মন্টুর পরিহিত কাপড় চোপড় ভিজা, হাতে কামড়ের দাগ। সমস্ত শরীরে কাঁদা মাখা অবস্থায় দেখতে পায় তারা। তাকে এই অবস্থায় দেখে জাতীয় জরুরী সেবা নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সুরতহাল শেষে লাশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
স্বজনরা হত্যাকান্ডের বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, কয়েকদিন আগে নিহত মন্টু দাস তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করে। ওই মামলার মূল আসামি জেল হাজতে থাকায় আসামীর বন্ধু ও স্বজনরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে মন্টুর মরদেহের সুরহাতাল করেছি। প্রাথমিকভাবে মন্টুর মৃত্যু হত্যাকান্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসেবে ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে।
এসআই