পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মো. রুবেল হোসেন (৩৪) নামে একজনকে অপহরণের মামলায় তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাদের উভয়কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের আশ্রাব আলী ফকিরের ছেলে ইলিয়াছ ফকির (৪৩), তার ভাই আবুল ফকির (৪৬) এবং উপজেলার ইন্দুরকানী গ্রামের আ. ছত্তার খানের ছেলে রুহুল খান (৫০)।
ভুক্তোভোগী রুবেল হোসেন ইন্দুরকানী উপজেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের মো. মুনসুর আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর ইন্দুরকানী উপজেলার সেউতিবাড়ীয়া প্রফেসার বাড়ি মসজিদে নামাজ পড়ার সময় ইলিয়াছ ফকির, আবুল ফকির ও রুহুল খান নামে তিন জন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করিয়া মো. রুবেল হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই তিন ব্যক্তি। পরে মোটরসাইকেলে করে উপজেলার টগড়া ফেরীঘাট এলাকার নদীর পাড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। এ সময় ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনের ডাক চিৎকারে পাশে থাকা মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনার স্থলে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে রুবেল হোসেন সুস্থ হয়ে ঘটনার আট দিন পর ইন্দুরকানী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার পরের বছর ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল ইন্দুরকানী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন খান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এআর