ঢাকা: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় অর্ধ সহস্রাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার স্বরূপ গরুর মাংস বিতরণ করেছেন আকাশ মিয়া নামে এক মরিশাস প্রবাসী যুবক।
শনিবার (৭ জুন) বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রাম পশ্চিমপাড়া আকাশ মিয়ার গ্রামের বাড়িতে এসব বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে কোরবানীর আনন্দ ও গরুর মাংস পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকেই চলে গরুর মাংস কাটা, প্রস্তুত ও প্যাকেট করার কাজ।
মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া ওই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে। তিনি মরিশাসের ঈশান কামিনী কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন মরিশাস প্রবাসী যুবক আকাশ মিয়া। বিশেষকরে ইতোমধ্যে একযোগে দশটি মসজিদ ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নে অংশ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়কাল থেকে এলাকার কয়েকশো হতদরিদ্র পরিবারকে প্রতিমাসে চাল বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
প্রতি ঈদে বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশকিছু হতদরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণ করে প্রশংসায় ভাসছেন এ যুবক। প্রতিমাসে এলাকার পাঁচটি এতিমখানায় প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ করেন তিনি।
মাংস বিতরণ কার্যক্রমের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মিয়া জানান, 'এলাকার পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়ার অর্থায়নে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। নুন আনতে পান্তা পুরায়, এসব পরিবার মাংস পেয়ে অনেক খুশি।'
আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক আশিকুর রহমান বলেন, 'মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই ব্রত নিয়ে মানব কল্যাণে এগিয়ে চলেছেন মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া। এলাকায় গরীব-দুঃখী মানুষের পরম বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যেই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।'
জানতে চাইলে মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া বলেন, 'ঈদের আনন্দ শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই ক্ষুদ্র এই প্রচেষ্টা। একদিন আমাদের সবাইকে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।'
এআর







































