চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য, সাবেক হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। তিনি ১৫ মার্চ ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩ জুন ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।
জন্ম, শিক্ষাজীবন ও কর্মময় জীবন:
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের জন্ম ১৫ মার্চ ১৯৪৬ সালে পৈতৃক নিবাস চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়া এলাকায়। তার পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার এবং মাতা মরহুমা আছিয়া খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিক পাস করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে উচ্চতর শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী, রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন হতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা মহকুমার সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৩ সালে চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের সভাপতি, ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের জেলা সেক্রেটারী ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভারত হতে ট্রেনিং নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা রাইফেল ক্লাব, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দীর্ঘ সময়ের সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য হন।
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
পারিবারিক জীবনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আক্তারি জোয়ার্দ্দারকে বিয়ে করেন। বৈবাহিত জীবনের তিনি এক কন্যা সন্তান তাবশিনা জান্নাত এর পিতা।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজাসহ পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আইএ







































