বরগুনা সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সমাজে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে একটি ভিডিও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে—সহকারী শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য, বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা এবং বার্ষিক পরীক্ষা নিলে ‘থুথু দিবস’ পালন করার হুমকি দিয়েছেন।
৪ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট বরগুনা সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষক সমিতির এক আলোচনায় কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতিতে লিটন প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকিসূচক মন্তব্য করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড-১১ বাস্তবায়নে চলমান কর্মবিরতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের ঘোষণা দেন এবং দায়িত্ব পালন করলে “মুখে থুথু দেওয়ার” মতো মন্তব্য করেন।
প্রধান শিক্ষকরা জানান, এ ধরনের মন্তব্য শুধু অসম্মানজনক নয়, বরং বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ও শিক্ষক-শিক্ষকের পারস্পরিক সম্পর্ককেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এক প্রধান শিক্ষক জানান, “আমরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবই। পরীক্ষা না নিলে অভিভাবকেরাই ক্ষুব্ধ হতেন। কিন্তু একজন সহকারী শিক্ষক এভাবে হুমকি দিতে পারে—এটা কল্পনাতীত।”
অভিযুক্ত শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভিডিও ব্যবহার করে আমাকে বিতর্কিত করছে। শিক্ষক সমিতির দুর্নীতির বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি, সেখান থেকেই কিছু গ্রুপ আমাকে টার্গেট করছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, তার বক্তব্য বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) আবু জাফর মো. ছালেহ জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এম







































