• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বরগুনায় চরের জমি নিয়ে দুই উপজেলার দ্বন্দ্ব, ভূমিহীনরা ভোগান্তিতে


বরগুনা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
বরগুনায় চরের জমি নিয়ে দুই উপজেলার দ্বন্দ্ব, ভূমিহীনরা ভোগান্তিতে

ছবি : প্রতিনিধি

বরগুনা: বিষখালী নদী ভাঙ্গনে নতুনভাবে জেগে ওঠা রুহিতা চরের জমি নিয়ে বরগুনার বেতাগী ও বামনা উপজেলার মধ্যে বিরোধ গড়িয়েছে। চরের জমি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে মামলা ও দ্বন্দ্বের কারণে বেতাগীর অংশের ভূমিহীনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বুড়া মজুমদার ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের শত শত মৎসজীবী ও কৃষক ভূমিহীন পরিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তাদের ন্যায্য মালিকানা দাবি করে অবস্থান নেন।

জেলা প্রশাসক মেজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সুরাহার আশ্বাস দিলেও প্রভাবশালীরা ভূমিহীন রিপনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন।

দুই পুরুষ পুর্বে নদী গর্ভে বিলীন হওয়া জমি পুনরায় চর পড়লে ২০১১ সালে বেতাগীর ক্ষতিগ্রস্তরা চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। কিন্তু অর্ধ শতাব্দী ধরে চরের মালিকানা ধরে রাখা বামনা উপজেলার প্রভাবশালীরা এতে বাধা দেন। তারা দাবি করছেন, চরটি প্রথম বামনা উপজেলার অংশে জেগেছে, তাই সম্পূর্ণ মালিকানা তাদের। অন্যদিকে বেতাগীর অংশের লোকজন বলছেন, জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সার্ভেয়ার করলে ভূমিহীনদের ন্যায্য মালিকানা বের হয়ে আসবে।

বরগুনায় জমির দাবিতে আসা ভূমিহীনরা বলেন, আমরা আমাদের জমি হারিয়েছি। ভিটে-মাটি সব নদীতে গেছে। এখন কবর দেয়ার জায়গাও নেই। আমাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।”

এব্যাপারে ভূমিহীনদের দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের রেজাউল করিম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, আমরা আমাদের দাবির ন্যায্যতা তুলে ধরেছি। বামনা উপজেলার প্রভাবশালীরা আমাদের ওপর হামলা ও মামলা করে যাচ্ছে। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। ভূমিহীনদের নেতৃত্ব দেয়া বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জমাদ্দার বলেন, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে সমাধানের পথে আমরা যেতে পারবো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব নিরসন করার জন্য দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

পিএস

Wordbridge School
Link copied!