• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের মেয়েকে হত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৩:০৪ পিএম
আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের মেয়েকে হত্যা

ঢাকা: আমির হোসেনের সঙ্গে এক নারীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ৫ নভেম্বর ওই নারী ও আমির হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে ৫ বছর বয়সী মেয়ে ফাহিমা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন আমির। পরে ওই নারীর প্ররোচনায় সহযোগীদের নিয়ে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন আমির।

এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমির হোসেন নিজের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ধামাচাপা দিতে সহযোগীদের নিয়ে সন্তান ফাহিমাকে খুন করেন। এ বিষয়ে তারা প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ফাহিমার বাবা আমির হোসেন, তার সহযোগী রবিউল আউয়াল, রেজাউল ইসলাম ইমন, লাইলি আক্তার ও সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১১।

খন্দকার মঈন বলেন, ৭ নভেম্বর ফাহিমাকে হত্যার উদ্দেশে ছুরি, প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করে বিকেলে তাকে নিয়ে কৌশলে বেড়াতে যায়। দেবিদ্বারের চাঁপানগর রাস্তার মোড়ে সোহেল রানার সিএনজিতে করে আমির হোসেন ও তার সহযোগীরা ফাহিমাকে নিয়ে রওনা হয়। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সন্ধ্যায় দেবিদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণে একটি নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে ফাহিমাকে নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ফাহিমাকে গলা টিপে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বলে জানায় র‍্যাব।

খন্দকার মঈন জানান, হত্যার পর ঘটনাস্থলের আশপাশে লোকজনের চলাচল দেখে ফাহিমার লাশটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ফিরে আসেন। তারা লাশটি রেজাউল ইসলাম ইমনদের গোয়ালঘরে একটি ড্রামের ভিতরে লুকিয়ে রাখেন।

৯ নভেম্বর রাতে লাশ উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে কালভার্টের নিচে সরকারি খালে ডোবার পানিতে ফেলে আসেন। পরে ১৪ নভেম্বর পুলিশ শিশু ফাহিমার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। তখন ফাহিমার বাবা আমির হোসেনই মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।

খন্দকার মঈন জানান, হত্যার পর ফাহিমাকে বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সবাইকে জানান আমির হোসেন। পরে তিনি দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ফাহিমার খোঁজে এলাকায় মাইকিং ও ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁকও করান আমির।

ফাহিমার লাশ উদ্ধারের পর দেবিদ্বার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আমির হোসেন। মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানান পোস্ট দেন বলে জানায় র‍্যাব।

র‌্যাবের তদন্তে আমির হোসেনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খন্দকার আল মঈন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!