• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

৭০ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নেপালের কারাগার থেকে পালান সুব্রত বাইন


নিউজ ডেস্ক জুন ১, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
৭০ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নেপালের কারাগার থেকে পালান সুব্রত বাইন

ঢাকা: ২০০৮ সালের দিকে নেপালে পালিয়ে গিয়ে সেখানে গ্রেপ্তার হন দেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায় মাটি খুঁড়ে ৭০ ফুট সুড়ঙ্গ তৈরি করেন তিনি।আর বেশ কয়েকজন বিহারি বন্দি সঙ্গে নিয়ে সেই সুরঙ্গ দিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যান তিনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুব্রত বাইন।

ইন্টারোগেশন সেলকে সুব্রত বাইন জানান, ২০০৮ সালের দিকে আমি ভারত থেকে নেপালে পালিয়ে যাই। পরে সেখানে গ্রেপ্তার হই। নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায় আমি ছিলাম জেলখানার চৌকিদার। নেপালের ওই কারাগারে বেশকিছু বিহারি নাগরিক বন্দি অবস্থায় ছিল। তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। ২০১২ সালে তারা আমাকে একদিন কারাগার থেকে পালানোর প্রস্তাব দেয়। এক্ষেত্রে সুড়ঙ্গ তৈরির কথা বলে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। আমি কারাগারের চৌকিদার হওয়ায় বন্দিদের কাছ থেকে অর্থ তুলতাম। সেই টাকার একটি অংশ নেপালের ওই কারাগারের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তাকে দিতাম। এ কারণে আমার প্রতি তাদের আস্থা ছিল। ওই আস্থার সুযোগ নিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি শুরু করি। প্রথমে গোলাকার সুড়ঙ্গ তৈরির চেষ্টা করি। সেটা ভেঙে যায়। পরে ত্রিকোণ আকৃতির ৭০ ফুট সুড়ঙ্গ তৈরি করে বিহারিদের নিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যাই। এরপর আবার ভারতে চলে আসি। পরে আমার স্ত্রী আমাকে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

ডিবি সূত্র জানায়, সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে ভারতে চারটি মামলা ছিল। একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছিলেন। তিনটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০২২ সালের বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেয় সুব্রতকে।  

সূত্র আরও জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিষয়ে অনেক তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এসব তথ্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ছদ্মনামে তিনি কীভাবে পাসপোর্ট তৈরি করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (২৭ মে) কুষ্টিয়া শহর থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন - মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ও শরীফ। পরদিন বুধবার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুব্রতকে আটদিন আর মোল্লা মাসুদসহ বাকি তিনজনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!