• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেক’র জন্য ডিএসইতে যে ৬৬ প্রতিষ্ঠানের আবেদন


নিজস্ব প্রতিনিধি এপ্রিল ২২, ২০২১, ১১:৫১ এএম
ট্রেক’র জন্য ডিএসইতে যে ৬৬ প্রতিষ্ঠানের আবেদন

ফাইল ছবি

ঢাকা: ডি-মিউলাইজেশন তথা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের বাইরেও শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর আওতায় কেউ ব্রোকারেজ সেবা দিতে চাইলে তাকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) নিতে হবে।

আর নতুন ট্রেক বা শেয়ারবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান (ব্রোকারেজ) ইস্যু করতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এরমধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যোগ্য ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে জমা দিয়েছে ডিএসই।

ডিএসইতে আবেদন করা ৬৬টি প্রতিষ্ঠান হলো- সোনালী সিকিউরিটিজ, আমার সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, বেঙ্গ জিন জিউ টেক্সটাইল,আরএকে ক্যাপিটাল, কবির সিকিউরিটিজ, ওয়িংস ফাইন, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিং, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, স্নিকদা ইক্যুইটিস, বিরিচ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটজ, থ্রি আই সিকিউরিটজ, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, ফারইস্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, কোলম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, টি.এ মার্চেন্টডাইজিং, রাহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট,ফারিহা নিট টেক্সটাইল, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, আল হারমাইন সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, এনসি সিকিউরিটজ,ইসলামিক ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, টি.কে. শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এমকেএম সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ,জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং, এসবিএসি ব্যাংক সিকিউরিটজ, আমায়া  সিকিউরিটজ, প্রোটেন্সিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ,এইচএসবি সিকিউরিটজ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, ইনোভা সিকিউরিটজ, বিএনবি সিকিউরিটজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ,গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটজ, বিনিময় সিকিউরিটজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, এএনসি সিকিউরিটজ, এসএফআইএল সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, ডেনিস্টি সিকিউরিটজ,এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ইম্পিরোর সিকিউরিটজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট মিরপুর সিকিউরিটজ, ক্লিসটাল সিকিউরিটজ, ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ,এসএমই ইনফরমেটিকস, বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন, ডিপি৭ লিমিটেড এবং ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ।

প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে বলা হয়েছে-কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া দেশী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেক নিতে চাইলে তাদের পরিশোধিত মূলধন লাগবে ৫ কোটি টাকা। একই সাথে জামানত হিসেবে রাখতে হবে আরও ৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে ট্রেক নিতে চাইলে তাদের মূলধন লাগবে ৮ কোটি টাকা। জামানত হিসেবে রাখতে হবে ৪ কোটি টাকা।

বিদেশী প্রতিষ্ঠান এককভাবে নিতে চাইলে তার পরিশোধিত মূলধন লাগবে ১০ কোটি টাকা। জামানত রাখতে হবে ৫ কোটি টাকা।একই সাথে সার্বক্ষনিক নীট সম্পদের পরিমাণ পরিশোধিত মূল ধণের ৭৫ শতাংশের বেশি হবে না।

অন্যদিকে ট্রেক নেওয়ার জন্য ডিএসইতে আবেদন করতে হবে ১ লাখ টাকা দিয়ে। এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের বরাবর ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হলে তাকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ দিতে হবে আরও ৫ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, ট্রেক পাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।

আবেদন বাতিল হওয়া ১৫ আবেদন: ট্রেকর জন্য আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫টি আবেদন বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। এগুলো হলো-অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, টি.এ মার্চেন্টডাইজিং, ফারিহা নিট টেক্সটাইল, ইসলামিক ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং,গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, এসএমই ইনফরমেটিকস এবং বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন লিমিটেড।

উল্লেখ্য, ট্রেক হচ্ছে শেয়ার লেনদেনের অধিকার সনদ বা ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট। এ সনদ ছাড়া বাজারে কেউ শেয়ার লেনদেন করতে পারে না। বর্তমানে ডিএসইর সদস্যপদ ২৫০টি। কিন্তু সক্রিয় রয়েছে ২৩৮টি। গত বিশ বছর ধরে কোনো ট্রেক দেওয়া হয়নি।

বর্তমান কমিশন গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২১ জানুয়ারি বিএসইসি এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দেয়। চিঠিতে এক্সচেঞ্জ দুটিকে পরিকল্পনা জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরই আলোকে ডিএসই ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।

সোনালীনিউজ/এলএ

Wordbridge School
Link copied!