ঢাকা: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরে আসছেন গ্রামে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ। তবে এখনও অনেকটা ফাঁকা রাজধানী। এ কারণে সবজি বাজারে ক্রেতা কম, যার প্রভাব পড়েছে দামেও। অধিকাংশ সবজির দাম ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দামে অস্বস্তি মাছের বাজারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, কোরবানির ঈদের পর মাংসের প্রতি মানুষের অনীহা থাকায় মাছের চাহিদা বেড়েছে। ঈদের কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছের জোগান কমে যাওয়ার ফলেও দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ঈদে বিবাহের অনুষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, সেখানে মাছ দরকার পড়ে। সেটাও একটি কারণ হতে পারে।
মাছের বাজারে সাইজ ভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যান্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার ওপরে। শিং ২৮০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, মলা ৪৫০-৫৫০, কাচ্চি (গুঁড়া মাছ) ৬০০-৬৫০, শোল ৫০০-৭৫০, ট্যাংরা ৪৫০-৭৫০, একটু বড় চিংড়ি ৭৫০-৮৫০ টাকা। সিলভার কার্প ও মৃগেল ২০০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত তেলাপিয়া ও পাঙাশও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তেলপিয়া ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হাইব্রিড কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা কেজি প্রতি।
সবজিতে স্বস্তি নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, সবজির বাজারে রয়েছে স্বস্তি। আলোচিত বেগুনসহ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে মানুষ ঢাকায় ফিরে এলে দাম আবার বাড়বে। ঈদের আগে শসা, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়েছিল। সালাদ তৈরির উপকরণ হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। তবে ঈদের দিন পার হতেই ধীরে ধীরে সেই দাম কমতে শুরু করেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ও দেশি শসা ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি গাজর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না গাজরের দাম বেশি। আর ভাল টমেটো ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও ঝিঙা পটল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।কচু মুখি ১০০ টাকা কেজি,পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হছে। পেয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এএইচ/আইএ







































