• ঢাকা
  • শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অভিষেককে সরিয়ে দিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ‘হাত ছিল’!


বিনোদন ডেস্ক মার্চ ২৯, ২০২২, ১২:৪৫ পিএম
অভিষেককে সরিয়ে দিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ‘হাত ছিল’!

ঢাকা : নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিতত্রের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। একসময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তার। উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে তাকে। শতাব্দী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও চুটিয়ে কাজ করেছেন।

এবার অভিষেকের আকস্মিক প্রয়াণে টালিপাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু বড় আঘাত দিয়েছে দর্শকদের মনে। সেই সঙ্গে অনেক তারকা নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। টালিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাকি হাত ছিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে। যদিও অভিষেকের মৃত্যুর পর তাকে ‘বন্ধু’ বলে ডেকেছেন প্রসেনজিৎ। ঋতুপর্ণা চোখের পানিতে জানিয়েছেন, ‘মানুষটা অনেক ক্ষোভ নিয়ে চলে গেল’।

এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন টালিউডের প্রযোজক রানা সরকার, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তারা নাম না করেই বলেছেন, ‘যারা বেঁচে থাকতে কোনো খোঁজই নেয়নি, কিন্তু মারা যাওয়ার পর ‘ন্যাকা কান্না’ কেঁদেছে।’

অভিষেকের হয়ে মুখ খোলেন আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। বিপ্লব জানান, একসঙ্গে তারা বহু ছবিতে এক সময় কাজ করেছিলেন। বিপ্লব নিজের স্মৃতিচারণে জানান, সকলকে নিয়ে হইহই করতে বড় পছন্দ করত অভিষেক। তারা আউটডোরে গিয়ে যেভাবে মজা করতেন, সেই ব্যাপারেও কথা বলতে শোনা যায় অভিনেতাকে। তারপরই জানান, বড়পর্দা থেকে সরে আসা একটা বড় আঘাত ছিল অভিষেকের মনে।

বলেন, ‘ছোটপর্দায় কাজ করা নিয়ে ওর মনে একপ্রকার ক্ষোভ রয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই অভিষেক মনে মনে গুমরেও থাকত। হয়ত এক বুক অভিমান নিয়েই তিনি আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।’

বিপ্লব আরো জানান, তিনি বরাবর অভিষেককে বলতেন নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে, শরীরের যত্ন নিতে। কিন্তু অভিষেক কারো কথাতেই পাত্তা দিতেন না। প্রসঙ্গত, বুধবার, মারা যাওয়ার দিনও অসুস্থ শরীর নিয়ে ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র সেটে গিয়েছিলেন অভিষেক। তারপর সেখানে আরো শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি এসে বমি করলে স্যালাইন চলে, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। পরে রাত ১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।   

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!