ঢাকা: মোটা অংকের টাকার লেনদেনে সাধারণত চেক ইস্যু করা হয়ে থাকে। বড় অংক হলে নগদের বদলে চেকের মাধ্যমেই টাকা পরিশোধ করা হয়। সে কারণে চেক কিংবা অনলাইন পেমেন্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে দুজনের কাছেই প্রমাণ থাকে যে, আপনারা একটি লেনদেন করেছেন।
এ ছাড়া আয়কর দপ্তর এবং সরকারের কাছেও আপনার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য থাকে। তবে জানেন কি, চেক লেখার সময় সামান্য ভুল আপনার কত বড় ক্ষতি করতে পারে? আর ঠিকমতো চেক লেখা না হলে আপনার অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা গায়েবও হয়ে যেতে পারে। চেক লেখার সময় জরুরি কিছু পয়েন্ট, যা আপনার মনে রাখা প্রয়োজন।
চেকের মাধ্যমে যেহেতু অনেকেই লেনদেন করে থাকেন। সে কারণে চেকে টাকার অংক লেখার পর মাত্র শব্দটি লিখে দেন। তবে কেন এই শব্দ লেখা হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
কারও নামে চেক কেটে দিলে টাকার অংকের ঠিক পরেই মাত্র শব্দটি জুড়ে দিতে হয়। এর পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। আর সেই কারণ হচ্ছে—মাত্র শব্দটি লেখা হয় মূলত প্রতারণা আটকাতে। মাত্র শব্দটি লেখা থাকলে আপনাকে প্রতারিত করতে পারবে না কেউ।
এই যেমন ধরুন— আপনি কারও নামে ২৫ হাজার টাকার চেক কেটে দিলেন। টাকার অংকে লিখলেন- ২৫ হাজার টাকার পর আর কেউ কোনো শব্দ বসাতে পারবে না এই 'মাত্র' শব্দটি থাকায়। ফলে আপনি প্রতারিত হবেন না।
এ ছাড়া চেকের পেছনে সবসময় আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ফোন নম্বর লিখুন। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তা হলে ব্যাংকের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারবেন।
চেক জমা করার সময় ব্যাংকের ফর্মটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটি ফেলে দেন বহু মানুষ। মনে রাখবেন, আপনি যে ব্যাংকে চেকটি জমা করেছেন, তার একমাত্র প্রমাণ। ফলে সেটি যত্নে রাখুন।
ইউআর