• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকা, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৬, ২০২১, ০৮:৫৯ পিএম
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকা, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানার আশংকা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটি কতটা সামাল দিতে পারবে সেটি নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ।
 
এক মাস আগে শনাক্তের হার ৭ শতাংশে নেমে এলেও এখন সেটি দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে বুধবার (১৬ জুন) ১৬ শতাংশের উপরে দাঁড়িয়েছে। 

সীমান্তের জেলাগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও সংক্রমণের হার বাড়ছে।

ফলে জনবহুল ঢাকা শহরে করোনাভাইরাসের আরেকটি বড় ধরনের ঢেউয়ের আশংকা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখনো ৪০ শতাংশের উপরে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে সেসব জেলায়।

গত ১৫ দিনে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় দেড় শ’ রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
 
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার  বলেন, সেখানে করোনা সংক্রমণের এখন পিক টাইম বা সর্বোচ্চ অবস্থা চলছে বলে তারা মনে করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এটাকে আর বাড়তে না দেয়া। পরিস্থিতি আগে যা ছিল সেটাই আছে।’

শুধু সীমান্তবর্তী জেলাই নয়, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঢাকার বেশ কাছেই টাঙ্গাইল জেলায় এখন করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর হার প্রায় ৪০ শতাংশ।

এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হারও বাড়তির দিকে।
 
এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ঢাকা জেলায় ৪ শতাংশ থাকলেও এখন এটি প্রায় ৬ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আশংকা করছেন, শনাক্তে হার এখন দৃশ্যত কম মনে হলেও ধীরে ধীরে এটি বাড়তে পারে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমদ বলছেন, ঢাকায় করোনাভাইরাসে প্রথম ঢেউ আঘাত করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটি কতটা সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় আছে।

তিনি বলেন, ‘আমার আশংকা হচ্ছে, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে সেটা মার্চ-এপ্রিল মাসের মতো হবে কি না। নাকি পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।’
 
গত একমাস যাবত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশ কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ঢাকায় কোভিড চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল শয্যার ৭৭ শতাংশ খালি।

কিন্তু করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আঘাত করলে জনবহুল ঢাকা শহরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটি সামাল দিতে পারবে কিনা?

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অন্যতম মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোভিড ডেডিকেটেড ৭ হাজার শয্যা আছে হাসপাতালে। রোগীর সংখ্যা যদি ৮ হাজার হয়ে যায় তাহলে সেটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে।

এদিকে বুধবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৮২ জনের। 

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৬জন।এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।

২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। 

সূত্র-বিবিসি

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!