ঢাকা : দীর্ঘ একযুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (০১ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দলটির নিবন্ধন পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন। খবরটি দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রোববার জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল করা হয়েছে। যা এক দশকেরও বেশি সময় আগে তৎকালীন সরকার বাতিল করেছিল। এর ফলে দলটি আবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে দিয়েছে, যার ফলে এটি আবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে ওই দলের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী বিবেচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বহুদলীয় ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত হলো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ—তাদের জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে—জামায়াতকে ভোট দেবেন এবং একটি প্রাণবন্ত সংসদে গঠনমূলক বিতর্ক দেখা যাবে।”
শেখ হাসিনা গত আগস্টে ক্ষমতা হারানোর পর জামায়াত ২০১৩ সালের হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়।
রোববারের এই সিদ্ধান্ত আসে এর ঠিক কয়েকদিন পর, যখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ২৭ মে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের দণ্ড বাতিল করে। তাকে ২০১৪ সালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ, হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, যা আজও বহু বাংলাদেশির মধ্যে ক্ষোভের কারণ। তারা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী।
শেখ হাসিনা তার শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
পিএস







































