• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

এক সময়ের ‘বন্ধু’ থেকে যেভাবে ‘চরম শত্রু’ ইরান-ইসরাইল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২০, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
এক সময়ের ‘বন্ধু’ থেকে যেভাবে ‘চরম শত্রু’ ইরান-ইসরাইল

ঢাকা: এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত আছে ইরান-ইসরাইল সংঘাত।উভয় দেশই বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চালাচ্ছে হামলা-পালটা হামলা। এতে হতাহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে দুদেশের।  গত ১৩ জুন শুরু হওয়া এই সংঘাতের পর থেকেই সারা বিশ্বের নজর এই দুদেশের ওপর।

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে এই সংঘাত শুরু হয় দুই চিরশত্রুর মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা শত্রুতার পর। কিন্তু, ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আগ পর্যন্ত, ইরান ও ইসরাইল ছিল ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিল।

ইসলামী বিপ্লব ইরানে উগ্র শিয়া মুসলিম শাসনব্যবস্থার উত্থান করে, যাদের আদর্শ গভীরভাবে পশ্চিমা ও ইসরাইল বিরোধী।  নতুন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির অধীনে ইরান ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে এবং দেশটিকে নিপীড়ন এবং পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করে।

ইরানের এই সরকার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেয় এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ, গাজায় হামাস এবং ইয়েমেনে হুথিদের মতো ইসরাইল বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠে।

ইসরাইল ইরানকে বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।

ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে— যা প্রকাশ্যে আসার আগে দুদেশের মধ্যে দীর্ঘ ‘ছায়া যুদ্ধের’ অংশ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Wordbridge School
Link copied!