যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউনের কারণে দেশটির বিমান চলাচলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এতে প্রভাবিত হয়নি।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের প্রায় ৪ শতাংশ বাতিল করা হয়েছে। এতে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেলটা, সাউথওয়েস্ট ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ৭০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। পরবর্তী দিনগুলোতে বাতিলের হার বৃদ্ধি পেতে পারে—১৪ নভেম্বরের মধ্যে এটি ১০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, শুক্রবার প্রায় ১২ হাজার যাত্রী বাতিল হওয়া ফ্লাইটে প্রভাবিত হয়েছেন। তবে অধিকাংশকে বিকল্প ফ্লাইটে নেওয়া হয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইনসও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি।
এফএএ জানিয়েছে, শাটডাউনের কারণে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বিনা বেতনে কাজ করছেন। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি শাটডাউন চলতে থাকে, নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আকাশপথে বড় সংকট দেখা দিতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এফএএ বৃহস্পতিবার রাতে (স্থানীয় সময়) প্রভাবিত বিমানবন্দরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে। কার্যকর হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে অনেক এয়ারলাইনস ক্ষোভ প্রকাশ করে, তবে সংস্থাটি তাদের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে।
চলমান অচলাবস্থায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বিনা বেতনে কাজ করছেন। এফএএ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড জানিয়েছেন, যে কোনও দিনে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কন্ট্রোলার কাজে উপস্থিত হচ্ছেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুক্রবার ছয়টি বিমানবন্দরে কন্ট্রোলার অনুপস্থিতির কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। একই সঙ্গে রকেট উৎক্ষেপণ কার্যক্রমেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে এফএএ।
এজেন্সিটি সতর্ক করে বলেছে, যদি নির্দিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত প্রভাব পড়ে, তাহলে কাটছাঁট পরিকল্পনা সংশোধন করা হতে পারে এবং প্রয়োজনে ব্যস্ত বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত বিমান চলাচলও ১০ শতাংশ পর্যন্ত সীমিত করা হতে পারে।
এম







































