• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘পদ্মা সেতুর মতো চ্যালেঞ্জ জলবায়ুতেও কি নেবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৬, ০৯:০৫ পিএম
‘পদ্মা সেতুর মতো চ্যালেঞ্জ জলবায়ুতেও কি নেবে

নিজস্ব প্রতিবেদক  
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর বিশাল প্রকল্প বাস্ববায়নের মত জলবায়ু তহবিলেও নিজস্ব অর্থায়নের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নেবেন কি না সে ব্যাপারে প্রশ্ন রেখেছেন সিপিডির বর্তমান চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু করে একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে জিতেছেন।

এ আবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মত আরও একটি বিশাল প্রকল্পের তহবিল গঠনে যদি দাতারা অর্থছাড় না করে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি এক্ষেত্রেও একই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন?

বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় গঠিত প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রেহমান সোবহান বর্তমানে সিপিডির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। যদিও এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনা করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

তিনি আজ শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সিপিডির বার্ষিক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালনকালে এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, কূটনৈতিক, পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সহায়তায় আন্তর্জাতিক একটি তহবিল গড়ার উদ্যোগ বিশ্বনেতারা নিলেও প্রতিশ্রুত অর্থ এখন ছাড় করেনি শিল্পোন্নত দেশগুলো।    

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নলেজ নেটওয়ার্ক (সিডিকেএন) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সাইমন ম্যাক্সওয়েল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানত তিনটি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে- সঠিক নেতৃত্ব, নীতি প্রণয়ন ও তার সঠিক বাস্তবায়ন।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে দরকষাকষির মাধ্যমে তহবিল ছাড় করতে দরকার সঠিক নেতৃত্ব। আর সেই তহবিল ব্যয় করে সবচেয়ে ভালো ফল পেতে দরকার সঠিক নীতি প্রণয়ণ ও তা বাস্তবায়ন।

গত মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনকে সফল দাবি করে সাইমন বলেন, এতে বিশ্বের অন্তত ১৮৫টি দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে।

নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নিয়েও আলোচনা হয়।

রেহমান সোবহান আরও বলেন, গত ৩০ বছর ধরে সিপিডি বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করার দাবি জানিয়ে এলেও বাস্তবে দূষণ এখনও বন্ধ না হয়ে বরং পরিবেশের জন্য হমকি হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেস করে হাজারীবাগের ট্যানারির বর্জ্যসহ সব ধরনের বর্জ্য গিয়ে এ নদী দূষণ করছে।

এখন আমরা আরেকটি নাটক দেখছি, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরানো নিয়ে। এখনও এ শিল্প সরানো যাচ্ছে না।

ঢাকা শহর ঘিরে থাকা সব নদী-খাল ও জলাশয় দখল করে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অভিযোগ করেন রেহমান সোবহান।

অনুষ্ঠানে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো, বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও ঢাকা শহরের জলাশয়-খাল দখল করে গড়ে ওঠা আবাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।

উল্লেখ্য,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সহায়তায় আন্তর্জাতিক একটি তহবিল গড়ার উদ্যোগ বিশ্বনেতারা নিলেও প্রতিশ্রুত অর্থ এখন ছাড় করেনি শিল্পোন্নত দেশগুলো।

 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

Wordbridge School
Link copied!