• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
পাচঁ সুপারিশ

যুবনীতি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের তাগিদ


নিজস্ব প্রতিনিধি অক্টোবর ২৮, ২০২০, ০৫:৩০ পিএম
যুবনীতি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের তাগিদ

ঢাকা : দেশে যুবদের উন্নয়নে সরকার প্রণীত জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ প্রণয়নের চারবছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন শুরু না হওয়ায় এ নীতিমালা বাস্তবায়নে দ্রুত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা। 

বুধবার (২৮ অক্টোবর ২০২০) আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশন এইড বাংলাদেশ ও দেশের যুবকদের উন্নয়নে কাজ করা ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানানো হয়। 

সেই সাথে বয়স, জাতগত পরিচয়, শারীরিক প্রতিবন্ধী, গ্রামাঞ্চলে বিশেষত গ্রামীণ যুব মহিলাদের এবং তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল যুবকদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করে যুবনীতি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। 

ওয়েবিনারে একশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নাজমুল আহসান, ধ্রুবতারা ইয়্যুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্ক ও ধ্রুবতারা ইয়্যুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক কাজী সালমান হোসেন, বিভিন্ন শ্রেণির যুব প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মীরা যুক্ত হয়েছিলেন। 

একশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নাজমুল আহসান বলেন, জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের গৃহীত যুবনীতি বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথা থাকলেও গত চার বছরে তা শুরু হয়নি। কর্মপরিকল্পনা তৈরি হওয়ার আগেই যুবনীতির পর্যালোচনার সময়ের কাছাকাছি আমরা চলে এসেছি। শিগগিরই যুবনীতির কার্যকর বাস্তবায়নে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা, প্রসাশনিক উদ্যোগ না হলে নীতিমালা শুধু প্রণয়নের মধ্যে থেমে যাবে এবং যুবকদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসবে না। 

ওয়েবিনারে ধ্রুবতারা ইয়্যুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্ক বলেন, “দেশে বাজেট প্রণয়নের আগে বাজেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা হয়, কিন্তু দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী তরুণ ও যুকবদের নিয়ে কোনে আলোচনা হয় না, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবকদের প্রতিনিধিত্বের কোনো সুযোগ থাকে না। বর্তমানে যুবকদের জন্য গুণগত শিক্ষা, তরুণদের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা, প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং যুবনীতি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং প্রক্রিয়ায় শহরের মত গ্রামীণ যুবদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি জন্যও সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।” 

দেশের যুবদের উন্নয়নে কাজ করা এ সংগঠনগুলোর পক্ষে ওয়েবিনারে শিগগিরই যুবনীতির কার্যকর বাস্তবায়নে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হলো- 

১. যুবনীতির বাস্তবায়নে কালক্ষেপন না করে দ্রুত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া। 

২. যুবকদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে তাদের অংশগ্রহণে যুব কাউন্সিল গঠন করতে হবে। 

৩. যুব বাজেট পর্যালোচনা ও পুনমূল্যায়ন করে বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। বাজেটে প্রান্তিক যুবকদের বিষয়টিও আনতে হবে। যুবদের উদ্যোগগুলোকে সহায়তার জন্য যুব অর্থায়নের প্রচলন ও জামানতবিহীন ঋণব্যবস্থা বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করতে হবে। 

৪. শুধু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ই নয় সেই সাথে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে যুবকদের অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যকর ও দৃশ্যমান কাজ করতে হবে। দেশের যুবকদের নিয়ে আরো সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে আলাদা করতে হবে। 

৫.  সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন আর্র্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, দেশি ও বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোকে যুববান্ধব পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ যুব ঋণের পাশাপাশি প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। 
এছাড়া, বিশ্বে ও বাংলাদেশে চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে তৈরি হওয়া নতুন স্বাভাবিক বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক মানবিক বিপর্য মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। 

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তরুণ জনগোষ্ঠী শিক্ষা, পেশা ও মানসিক স্বাস্থ্যগত ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই বাংলাদেশের বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড সুবিধাকে কাজে লাগাতে তাদের সম্ভাবনাকে তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের উন্নয়নে এখনই যুবনীতি ২০১৭ বাস্তবায়নের ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হবে। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!