• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির শীর্ষ স্থানে দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া, ১২তম বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৭:২৬ পিএম
দুর্নীতির শীর্ষ স্থানে দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া, ১২তম বাংলাদেশ

ঢাকা : দুর্নীতির ধারণা সূচকে আগের বছরের তুলনায় আরো দুই ধাপ নীচে নেমেছে বাংলাদেশ। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কর্তৃক পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’ এর বৈশ্বিক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে।

সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নীচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৯ সালে নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪ তম।

পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টিকে উল্লেখ করা হয়। এ বছর সর্বোচ্চ ৮৮ স্কোর নিয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের শীর্ষে যৌথভাবে রয়েছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। আর ৮৫ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে, টিআইর পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’ প্রকাশ করা হয়। 

তবে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে টিআই বলছে, সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী বিগত দুই বারের মতো বাংলাদেশের স্কোর ২৬ যা ২০১৮ ও ২০১৯ সালের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। এ বছর একই স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের সাথে তালিকার নিম্নক্রম অনুযায়ী ১২তম স্থানে যৌথভাবে রয়েছে উজবেকিস্তান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক।

সূচক অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় টিআইবি বলছে, সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী ১৮০ দেশের উপর চালানো জরিপে দেশ ভিত্তিক গড় স্কোর ৪৩। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর ২৬ হওয়ায় দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনও উদ্বেগজনক বলে মনে করছে টিআই বাংলাদেশ।

দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতার কারণে ‘বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত বা বাংলাদেশের অধিবাসীরা সবাই দুর্নীতি করে’ এমন ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। যদিও দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ সর্বোপরি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে কঠিনতম অন্তরায়। সেক্ষেত্রেও দেশের আপামর জনসাধারণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী। ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি ও তা প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে দেশ ও জনগণকে কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।

২০২০ সালের সিপিআই অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ভুটান। এ বছর দেশটির স্কোর ৬৮ ও সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী সূচকে অবস্থান ২৪ যা ২০১৯ সালের সমান হলেও অবস্থানের দিক থেকে এক ধাপ এগিয়েছে। স্কোরের উচ্চসীমা থেকে গণনা অনুযায়ী এবারের সিপিআইয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বড় অগ্রগতি হয়েছে মালদ্বীপের।

গতবারের তুলনায় এবার দেশটির স্কোর ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫ হয়েছে। অবস্থানের দিক থেকে মালদ্বীপের বৈশ্বিক ৭৫তম স্থানে রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহতম দেশ হিসেবে ভারত গতবারের দ্বিতীয় অবস্থান হারিয়ে এবার ১ পয়েন্ট কমে ৪০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় এবং বৈশ্বিক ৬ ধাপ নেমে ৮৬তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে শ্রীলংকা আর গতবারের সমান ৩৮ স্কোর অর্জন করলেও বৈশ্বিক অবস্থানে ১ ধাপ পিছিয়ে ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে।

বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতি বছর সিপিআই (করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স বা দুর্নীতির সূচক) প্রকাশ করে থাকে। যার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি দুর্নীতির তুলনামূলক ব্যাপকতার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। 

সিপিআই’য়ে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাজনীতি ও প্রশাসনে বিরাজমান দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট খাতের গবেষক ও বিশ্লেষকদের ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি দেশকে শূন্য (উচ্চ মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত) থেকে ১০০ (কম মাত্রায় দুর্নীগ্রস্ত) স্কেলে পরিমাপ করে স্কোরের মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করে টিআই। আর দুর্নীতি নিরুপনের জন্য টিআই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সুবিধা বা লাভের জন্য ‘সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার’-বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!