• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রত্যাশা বাংলাদেশের

অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে সব রাষ্ট্র সম্মান দেখাবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৫, ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম
অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে সব রাষ্ট্র সম্মান দেখাবে

ঢাকা: নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অধিকারের প্রতি সব বিদেশি রাষ্ট্র সম্মান দেখাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রতি চীনের সমর্থনের প্রতিক্রিয়ায় এমন প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সমর্থন বিষয়ক বক্তব্য নোট করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, আত্মসম্মানবোধ বজায় রাখে এমন যে কোনো দেশের মতো বাংলাদেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা সার্বভৌমত্বের চেতনার ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে অধিকার আছে, তার প্রতি সব পক্ষ সম্মান প্রদর্শন করবেন।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপকল্প ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশিত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’, এমন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে অধিকার আছে, তার প্রতি সব পক্ষ সম্মান প্রদর্শন করবেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও তৎকালীন সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের ওপর যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হবে, সে সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকার গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জানিয়ে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কেনাকাটায় কোনো দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের কাছ থেকে সরকার কিছু কিনবে না। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্ত অবস্থানই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের বড় অংশের মনের কথা বলে মন্তব্য করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রকৃতপক্ষে নিজস্ব (যুক্তরাষ্ট্র) জাতিগত বৈষম্য, সহিংসতা এবং মাদক বিস্তারের সমস্যার প্রতি দৃষ্টি না রেখে, একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।  

ওয়েনবিন বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা, স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি সমুন্নত এবং এর জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!