• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম

গণমাধ্যমের কারণেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ে


নিজস্ব প্রতিবেদক  ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
গণমাধ্যমের কারণেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ে

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত  
গণমাধ্যমের কারণে অনেকসময় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আইন, আদালত ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সদস্যদের জন্য ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘দেখা গেছে যে সকাল ৮টায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ঘাটতি নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। এই খবরের পর সকাল ১০টায় কারওয়ান বাজারে গেলে দেখবেন পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আর বিকেলে শ্যামবাজারে দেখা যাবে দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি আট থেকে দশটি চ্যানেল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে রিপোর্ট করতে থাকে, তাহলে পণ্যের চাহিদা ও সংকট তৈরি হয়। তাই মিডিয়ার উচিত ইতিবাচকভাবে প্রতিবেদন করা।’

বিচার বিভাগ, বিচারকদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘যতটুকু সত্য ঘটনা ততটুকু প্রকাশ করা উচিত। সাংবাদিকতার লক্ষ্যটা হলো, যা হয়েছে, ঘটেছে তা পাঠক ও শ্রোতাকে পৌঁছে দেওয়া। এখানে নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে ব্যাখ্যা করতে যাওয়া সমীচীন হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। সে বিচারক হই, যেই হই। আমাদের জবাবদিহিতা আছে জনগণ, আইন ও সংবিধানের কাছে। সুতরাং আমাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটি থাকতে হবে। সে বিষয়ে আপনারা যদি নিউজ করতে চান করতে পারেন। তবে আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিচারক যাতে মানহানির পর্যায়ে না যায়, এই সংবাদ যাতে মিথ্যা না হয়, সে বিষয়টি আপনারা খেয়াল করবেন।’

সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি বলেন, ‘হাইকোর্ট অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরদের ছবি, নাম ও ঠিকানা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর তাদের ছবি প্রকাশ করে। তাই মামলার আদেশ ও রায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন করা উচিত। তবে আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে হওয়া বিচ্ছিন্ন কথোপকথন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানাই।’ 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ১ নম্বর হলরুমে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ আমিন উদ্দিন।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!