ঢাকা: কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগষ্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে রাজধানীর শাহবাগে এ হাসপাতালে নেওয়ার তথ্য দেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুরাইয়া আকতার।
তিনি অসুস্থতা বোধ করায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বলেন, 'তাকে (খায়রুল হক) নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের কার্ডিয়াক ইউনিটের সিসিইউতে আছেন। চিকিৎসকরা ওনাকে দেখছেন।'
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হক গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক রয়েছেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
দেশের ঊনবিংশতম প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সেদিন সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে। যুবদল কর্মী আহাদ ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
ওই ঘটনায় তার বাবা আলা উদ্দিন যাত্রাবাড়ী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে যায়।
খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৩ অগাস্ট আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন খায়রুল হক। এরপর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।
দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
এআর







































