ফাইল ছবি
ঢাকা: আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও দলটি কেন নিষিদ্ধ করা হয়নি-এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দেওয়া ও সহিংসতায় নেতৃত্ব দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবুও সরকার আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এগোচ্ছে।
সেই সাক্ষাৎকারে শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা তো দেখেছেন, কত অডিও বেরিয়েছে-তাদের লিডার খুনের নির্দেশ দিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কর্মীরা সেই খুনে জড়িত ছিল। ভিডিও ও ফুটেজেও দেখা গেছে, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তারপরও তারা অনুতপ্ত নয়, বরং উল্টো মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে। বলছে, তিন হাজার পুলিশ খুন করা হয়েছে। আসলে তারা নিজেরা যেসব খুন করেছে, সেগুলোকে জাস্টিফাই করার জন্য ভয়াবহ মিথ্যা গল্প তৈরি করছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই খুনিদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আনা হয় না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে হলে প্রথম শর্ত হলো নিজের অন্যায়ের দায় স্বীকার করা। যারা ভুল করেছে, তাদের সরিয়ে দিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে হয়। কিন্তু এখন সামনে নির্বাচন, সময় খুব কম। হয়তো নতুন সরকার এ নিয়ে ভাববে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত মানুষ মারা গেল, গুম হলো, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হলো-তাদের কাছ থেকে কি কখনো ‘স্যরি’ শুনেছেন? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অর্থপাচার হয়েছে। ২৩৪ বিলিয়ন টাকার চুরির ইতিহাস শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা এশিয়ায় বিরল।’
প্রেস সচিবের ভাষায়, ‘বাংলাদেশে এর চেয়ে বড় কসাই আসে নাই। তবুও আমরা কোনো দলকে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ করছি না। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, অপরাধের দায় যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার তো পরিষ্কার বলেছেন। এখন পর্যন্ত তারা অনুতপ্ত নয়। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে হলে তাদেরই নিজের পথ ঠিক করতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা এখন ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধার করছি, দুর্নীতির দায় থেকে দেশকে মুক্ত করছি। ইনশাল্লাহ, আমরা ঠিক পথেই যাচ্ছি।’
এসএইচ







































