• ঢাকা
  • সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

তোফায়েল আহমেদ

রাজনৈতিক মহীরুহকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম
রাজনৈতিক মহীরুহকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

ঢাকা : বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রবীণ জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপির ৮১তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৩ সালের এই দিনে ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্ম নেন এই রাজনৈতিক মহীরুহ।

তোফায়েল আহমেদ কলেজ জীবনেই সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক, কলেজের অশ্বিনী কুমার হলের সহসভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সহসভাপতি এবং ইকবাল হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৬৭-১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ছিলেন তিনি। ওই সময় 'সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচিকে ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ 'আগরতলা মামলা'য় আটক সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভার সভাপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করেন তোফায়েল আহমেদ। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সত্তরের নির্বাচনে ভোলার দৌলত খাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ করেন তাকে। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ঘোষণার পর প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় 'রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী' নিযুক্ত হন তিনি। সে সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে বাকশালের যুব সংগঠন 'জাতীয় যুবলীগ'-এর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরপরই তোফায়েল আহমেদকে প্রথমে গৃহবন্দি এবং পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও রেডিও অফিসে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৩৩ মাস কারান্তরালে ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী আন্দোলন, '৯৫-৯৬ সালের 'নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার' প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!