ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন মোট ১১ জন নারী প্রার্থী। প্রথম দফায় ৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ নারী প্রার্থীর নাম আসে। এরপর ৪ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও ৩৬টি আসনের তালিকা প্রকাশ করলে নারী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে।
মোট তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খালেদা জিয়া। তিনি দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ থেকে নির্বাচন করবেন।
বাকি নারী প্রার্থীরা হলেন নাটোর-১ থেকে ফারজানা শারমিন, যশোর-২ থেকে মোছা. সাবিরা সুলতানা, ঝালকাঠি-২ থেকে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টু, শেরপুর-১ থেকে সানসিলা জেবরিন, মানিকগঞ্জ-৩ থেকে আফরোজা খান রিতা, ঢাকা-১৪ থেকে সানজিদা ইসলাম তুলি, ফরিদপুর-২ থেকে শামা ওবায়েদ, সিলেট-২ থেকে মোছা. তাহসিনা রুশদীর, ফরিদপুর-৩ থেকে নায়াব ইউসুফ কামাল এবং মাদারীপুর-১ থেকে নাদিরা মিঠু।
নারী প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা। ফারজানা শারমিনের বাবা ফজলুর রহমান পটল এবং আফরোজা খান রিতার বাবা হারুনুর রশিদ খান মুন্নু দুজনই ছিলেন সাবেক মন্ত্রী। শামা ওবায়েদের বাবা কেএম ওবায়দুর রহমান বিএনপির সাবেক মহাসচিব। সানজিদা ইসলাম তুলির ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমন গুম হওয়ার পর থেকে তিনি ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়। তাহসিনা রুশদীর লুনার স্বামী এম ইলিয়াস আলী ২০১২ সালে গুম হন।
মাদারীপুর-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া নাদিরা মিঠু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠু চৌধুরীর স্ত্রী এবং বর্তমানে জেলা বিএনপির সদস্য। স্থানীয় নির্বাচনে আগেও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এই আসনে ৩ নভেম্বর কামাল জামান মোল্লাকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী নেতৃত্ব প্রসারে বিএনপির এই উদ্যোগ দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
এসএইচ







































