ফাইল ছবি
ঢাকা: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টার রাজনৈতিক গন্তব্য ঘিরে নানা আলোচনা চলছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে যে প্রার্থী হচ্ছেন তা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। আর মাহফুজ আলমের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা চলার কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। রাশেদ খাঁন বলেন, গণঅধিকারে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে আসিফ মাহমুদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
“আমরা ইতিবাচক। তিনি আসতে চাইলে দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। আমরা আগেও একসাথে আন্দোলন করেছি।”
সদ্য পদত্যাগী উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ বলেন, “মাহফুজের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।”
পদত্যাগ করার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কোনো ধোঁয়াশা নয়, এ বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের সময় আমি এখনকার এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তবে এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না যে আমি এনসিপিতেই যোগ দিচ্ছি। আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
আসিফ মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেন, “কোনো দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। সিদ্ধান্ত নিলে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।”
হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত বছরের ৮ অগাস্ট যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, তাতে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ। পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয় তাকে।
উপদেষ্টা থাককালীন গেল ৯ নভেম্বর ধানমন্ডিতে এক ব্রিফিংয়ে আসিফ বলেন, ঢাকার কোনো একটি আসন থেকে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে তার লড়াই করার ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য আসিফ মাহমুদ ইতোমধ্যে তার ভোটার এলাকা কুমিল্লা থেকে ঢাকার ধানমণ্ডিতে স্থানান্তর করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারে মাহফুজ আলম ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ভোটার মাহফুজ সেখানে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও সেখানে এখন অন্য প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি।
পিএস







































