• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪০ দেশের প্রবাসী বাঙালিদের এনআইডি দেবে ইসি


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১১, ২০২০, ১০:৪৫ এএম
৪০ দেশের প্রবাসী বাঙালিদের এনআইডি দেবে ইসি

ঢাকা: বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৪০ দেশের প্রবাসীদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রথম দিকে এ পরিষেবা ৫ থেকে ৬ দেশে দেয়া হবে। 

সম্প্রতি ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অধিক প্রবাসী অধ্যুষিত ৪০ দেশে কাজ শুরু করব। প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও যুক্তরাজ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু করব।

এদিকে করোনা মহামারির আগে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন নিবন্ধন শুরু করা হয়েছিল। গত বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার হওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছিল।

তখন চার দেশ থেকে মোট ৭৩৮ প্রবাসী জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩০, যুক্তরাজ্য থেকে ১২১, মালয়েশিয়া থেকে ৪৮ এবং সৌদি আরব থেকে ৩৯টি আবেদন করা হয়েছিল।

কমিশন প্রবাসীদের যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসগুলাতে আবেদন পাঠিয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারিজনিত কারণে আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ইসি এ চারটি দেশে কারিগরি দল পাঠাতে পারেনি।

মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, এখন ইসি সেই চারটি দেশসহ কুয়েত থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তাদের প্রযুক্তিগত টিমকে সেখানে পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইসি যখন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে অনলাইন পোর্টাল খোলার জন্য চারটি দেশে গিয়েছিল, তখন প্রবাসীরা সেবার মান বাড়াতে ফি আরোপের কথা বলেছিল।

জানা গেছে, প্রবাসীদের এনআইডি কার্ডের আবেদনের জন্য ফর্মের সঙ্গে ছয়টি নথি সংযুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এর পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে।

ইসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরে চলমান আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ জন্য ৪০ দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে সময় বাড়ানোর জন্য আইডিইএ দ্বিতীয় মেয়াদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। এর ভিত্তিতেই পরে ২০১৬ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ইসি ভোটারদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু করে। এখন ১৩৭টি সংস্থা এনআইডি ডাটাবেস থেকে পরিচয় শনাক্তকরণের পরিষেবা গ্রহণ করছে।

সোনালনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!