• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার টিকটক শপ চালু হচ্ছে জাপানে


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
এবার টিকটক শপ চালু হচ্ছে জাপানে

ঢাকা: জাপানের ই-কমার্স খাতে যোগ দিতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। তাঁদের ই-কমার্স উদ্যোগ ‘টিকটক শপ’ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জাপানে চালু হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় দৈনিক নিক্কেই’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। 

টিকটক শপ চালু করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই বিক্রেতা নিয়োগ করতে যাচ্ছে বলেও সূত্রের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে নিক্কেই। তবে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি।

ই-কমার্স খাতে টিকটকের উদ্যোগের নাম হচ্ছে ‘টিকটক শপ’। এই ফিচারটি ব্যবহার করে টিকটক অ্যাপের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করতে পারে। বিক্রেতারা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও, লাইভস্ট্রিম ও প্রোফাইলে প্রোডাক্ট ট্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তুলে ধরেন সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে। এভাবে পণ্য বিক্রির উপর তারা নির্দিষ্ট কমিশন লাভ করেন। 

অর্থাৎ, টিকটক প্ল্যাটফর্মের অনলাইন শপিং সার্ভিস হচ্ছে ‘টিকটক শপ’, যেটা ইতোমধ্যেই আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ে বিভিন্ন পণ্যের জন্য সুপরিচিত ‘টিকটক শপ’।

টিকটক এবার তাঁদের ই-কমার্স উদ্যোগটিকে আমেরিকার বাইরেও নিয়ে যেতে চাইছে। সম্প্রতি ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি’তে চালু হয়েছে টিকটক শপ এবং ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশেও উদ্যোগটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এশিয়ার উন্নত অর্থনীতির দেশ জাপানেও টিকটক শপ ফিচারটি চালু করতে যাচ্ছে তাঁরা।

আমেরিকায় টিকটকের ওপর এখনও ঝুলে আছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে গত বছর প্রণীত এক আইনে দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে তাঁরা। গত ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল চীনের বাইটড্যান্সের, যেটা তাঁরা করতে ব্যর্থ হয়। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা দু’দফা বৃদ্ধি করেছে।

অতি সম্প্রতি চীনের সাথে আমেরিকার শুল্কযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমেরিকায় টিকটক ভাগ্য আরও কিছুটা অনিশ্চিত হয় পড়েছে। তবে তাঁদের আমেরিকা বিজনেসের নিয়ন্ত্রণ কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে বলেই ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে, ১৭ কোটি আমেরিকান ব্যবহারকারীর এই অ্যাপটি অচিরেই আমেরিকায় তাঁর অস্তিত্ব সংকট কাটিয়ে উঠবে।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!