• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের বন্ধ থাকা বিমানবন্দর নিয়ে নতুন চিন্তা


লাইজুল ইসলাম মার্চ ৩, ২০২৩, ১০:০৫ পিএম
দেশের বন্ধ থাকা বিমানবন্দর নিয়ে নতুন চিন্তা

ঢাকা: দেশে বিমানবন্দরের অবকাঠামো আছে ৩০টি। কিন্তু এর মধ্যে সচল আছে মাত্র আটটি। এরমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর লাভজনক। আর বাকি পাঁচটি অলাভজনক। তারপরও বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ভেতরে নতুন গন্তব্য হতে পারে ঈশ্বরদী। সেখানে কিছুটা চাহিদা রয়েছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারসহ আরো কয়েকটি বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে যাত্রী আসা-যাওয়া বাড়বে। সেক্ষেত্রে এগুলোতে যে লোকশান গুনতে হচ্ছে তা আর গুনতে হবে না। আর নতুন গন্তব্যগুলো সমীক্ষায় দেখা হবে কতটুকু চাহিদা আছে।

যদি চাহিদা থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামোকে ব্যবহার করে দেশের ভেতরেই নতুন আকাশপথ সৃষ্টি করবে বেবিচক।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে ৩টি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট।

অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে ৮টি। যশোর বিমানবন্দর, যশোর। কক্সবাজার বিমানবন্দর, কক্সবাজার। শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী। সৈয়দপুর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর। বরিশাল বিমানবন্দর, বরিশাল। খান জাহান আলী বিমানবন্দর, বাগেরহাট।

ক্ষুদ্র উড্ডয়ন ও অবতরন বন্দর রয়েছে ৭টি। এগুলো হলো কুমিল্লা স্টলপোর্ট, বগুড়া স্টলপোর্ট, ঠাকুরগাঁও স্টলপোর্ট, লালমনিরহাট স্টলপোর্ট, শমশেরনগর স্টলপোর্ট, ঈশ্বরদী স্টলপোর্ট ও তেজগাঁও বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা।

অব্যবহৃত বিমানবন্দর রয়েছে ১১টি। সন্দীপ বিমানবন্দর, চকরিয়া বিমানবন্দর, ফেনী বিমানবন্দর, রাজেন্দ্রপুর বিমানবন্দর, শমশেরনগর বিমানবন্দর, রসুলপুর বিমানবন্দর, সিরাজগঞ্জ বিমানবন্দর, বাজিতপুর বিমানবন্দর, পাহাড় কাঞ্চনপুর বিমানবন্দর, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর ও পটুয়াখালি বিমানবন্দর। নির্মানাধীন আছে নোয়াখালী বিমান ক্ষেত্র। এটি ভবিষ্যতে চলাচলের জন্য ব্যবহার হতে পারে।

এগুলো ছাড়াও দেশে বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। যেগুলো কয়েকটি ব্যবহার হচ্ছে। আবার কয়েকটি বন্ধের পথে আছে। বন্ধ পড়ে থাকা বিমানবন্দরগুলো নিয়েই চিন্তা করছে বেবিচক।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বন্ধ পরে থাকা বিমানবন্দরগুলো নিয়ে সোনালীনিউজকে বলেন, আমরা দেশের ভেতরে কোনো এয়ারপোর্ট চালু করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। যেগুলোতে অবোকাঠামো আছে ও চাহিদা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করা হবে। আমরা আপাতত দেখতে পারছি ঈশ্বরদীতে চাহিদা আছে। সেটাকে আমরা খুলে দেয়ার চিন্তা করছি। কিন্তু এতে সময় লাগবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন আরো দুটি বিমানবন্দর হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরটি হয়ে গেছে আমাদের আকাশ পথে সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে। এই বিমানবন্দরটিতে এখন যে পরিমাণ উড়োজাহাজ উঠানামা করে তার থেকে অনেক বেশি উড়োজাহাজ চলাচল করবে। আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সব বড় বড় বিমান অবতরণ করতে পারবে। রাতে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমুদ্রের মধ্য থেকে রানওয়ে আনা হয়েছে। যা হবে দৃষ্টি নন্দন। এই বিমানবন্দর আমাদের আরেকটি লাভজনক বিমানবন্দর।

এছাড়াও অন্যান্য বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিয়েও আমাদের চিন্তা চলছে। সেখানে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারলে বিদেশী পর্যটক টানা সম্ভব হবে। সেই হিসেবে কাজও চলছে।

তিনি বলেন, হেলিকপ্টার চলাচলের একটি নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত। এই নীতিমালা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সব কিছু ভেবে নীতিমালা প্রস্তুত করছি। নীতিমালার পাশাপাশি হ্যালিপ্যাড তৈরির কাজও চলছে। এটিও দ্রুত শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, দেশের ভেতরে সবচেয়ে বড় রানওয়ে হবে কক্সবাজারে। ইতোমধ্যে ৬ হাজার ফুট রানওয়েকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। এটা আরো বড় হয়ে রানওয়ে দাড়াবে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে। ২৪ ঘণ্টা যাত্রী চলাচল করবে এখানে। বিভাগীয় সব বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ এতটাই হচ্ছে যা খুব দ্রুত সবার সামনে দৃশ্যমান হবে।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল যাত্রী সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশ্বের দরবারে এর মাধ্য এক নতুন বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হবে। বিশ্বের আধুনিকতম সুযোগ সুবিধা থাকবে এই বিমানবন্দরে। এর পাশাপাশি দেশের বিভাগীয় শহরের বিমানবন্দরগুলোতেও আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেয়ার জন্য কাজ চলমান আছে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!