• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩০

সমীক্ষা বইয়ের পেছনেই খরচ ১৩৬ কোটি!


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
সমীক্ষা বইয়ের পেছনেই খরচ ১৩৬ কোটি!

ঢাকা : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। এই প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ কোটি টাকা। কাজ শুরু না করে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করায় এর নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়েছে। বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, শুধু সমীক্ষা সম্পন্ন করেই কালক্ষেপণ করা হয়েছে।

আর সমীক্ষা বই তৈরি করার কাজে সীমাবদ্ধ ছিল গত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

অভিযোগ উঠেছে, একটি সমীক্ষা বইয়ের পৃষ্ঠা করা হয়েছে ৫ হাজার পৃষ্ঠা। আর তাতে খরচ করা হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা।

এখন সন্দেহের তীর বেবিচকের প্রকৌশল বিভাগের সাবেক প্রধান নির্বাহী আবদুল মালেক ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ ৪ শীর্ষ কর্তার দিকে। ওই সময় প্রকল্পটির পিডি ছিলেন বর্তমান বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। বর্তমানে যিনি বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের ৪ মামলার আসামি।

সমীক্ষা বইয়ের পেছনে এত অর্থ খরচ হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এই নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এভাবে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে বেবিচকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাজধানীর কাছে আরও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। মূলত ঢাকাকে আকাশ যোগাযোগের সংযোগস্থল বা ‘হাব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নতুন বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’।

২০১০ সালে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রাথমিক ব্যয় ধরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে তৎকালীন মন্ত্রিসভা। প্রকল্প প্রস্তাবনায় এই বিমানবন্দরে তিনটি রানওয়েতে প্রতিদিন যাত্রীবাহী ৪০০টি উড়োজাহাজ ও কার্গোবাহী ২০০টি ফ্লাইট ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়েছিল। বিমানবন্দর নির্মাণের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে সরকারের প্রাথমিক বাছাইয়ে উঠে আসে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিল ও ময়মনসিংহের ত্রিশালের নাম।

পরে ত্রিশালকে বাদ দিয়ে আড়িয়াল বিলেই বিমানবন্দর  তৈরির পরিকল্পনা করে সরকার। মন্ত্রিসভায় প্রকল্প অনুমোদনের এক বছর পর ২০১১ সালে আড়িয়াল বিলে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের কাজ। কিন্তু শুরুতেই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে এই প্রকল্প।

আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জনতা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

ওই সংঘর্ষে স্থানীয় জনতার পাশাপাশি, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ কয়েকশ মানুষ আহত হন। এর পরই নতুন করে বিমানবন্দর নির্মাণের প্রকল্প থমকে যায়। আন্দোলনের মুখে আড়িয়াল বিলে জমি অধিগ্রহণের কাজ স্থগিত করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয়, বিমানবন্দর হবে পদ্মার ওপারে, মাদারীপুর কিংবা শরীয়তপুরে।

বেবিচক সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করতে ২০১৬ সালে বিমানবন্দর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়িকে। ৪ বছর সমীক্ষার পর মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের সীমান্ত  ঘেঁষে উপযুক্ত স্থান বেছে নেয় তারা। বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য ২৮টি স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ১০টি স্থান প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে।

পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত আরও অন্যান্য প্যারামিটার বিবেচনায় ৩টি উপযুক্ত সম্ভাব্য স্থান থেকে ২টি স্থানকে নির্বাচন করা হয়। প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে, মাস্টারপ্ল্যান, এয়ার রুট, অ্যারোস্পেস, এয়ার ট্রাফিক ফোরকাস্ট ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন করে। এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কোনো নির্দেশনা পাওয়া না গেলেও ভবিষ্যতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সে আলোকেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সীমান্ত ঘেঁষে এই বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু হতো।

এছাড়া যানজট  থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে ঢাকা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং বিমানবন্দরটি চালুর ৮ বছরের মধ্যে যাত্রীর চাপ সামলাতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।

এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করতে বেবিচকের প্রকৌশল বিভাগ দায়িত্ব নেয়। এতে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ চার কর্মকর্তা সব ধরনের কলকাঠি নেড়েছেন। বিশেষ করে হাবিবুর রহমান প্রকল্পের পিডির দায়িত্বে ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের নামে পুকুর চুরি হয়েছে। একটি সমীক্ষা বইয়ের পৃষ্ঠা করা হয়েছে ৫ হাজার। অথচ এই বইটি করতে রাষ্ট্রের খরচ হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক ও হাবিবুর রহমান পুকুর চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য মিলেছে। তাছাড়া আরও দুই কর্মকর্তার দিকেও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাদের বিষয়ে গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইতিমধ্যে আবদুল মালেক ও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। তারা যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন সেই জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বেবিচক সূত্র জানায়, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রকৌশল বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কাজ করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দুদক তদন্ত করে।

অভিযোগে বলা হয়েছিল, বেবিচকে যতগুলো মেগা প্রকল্প রয়েছে, প্রায় সবগুলোতেই অর্থ-বাণিজ্য করেছেন তিনি। অনিয়ম হালাল করতে তিনি রাতারাতি টেন্ডারের নিয়ম পাল্টে ফেলেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিনা টেন্ডারে ১৬ কোটি টাকার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজে পিডি থাকার সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের প্রমাণ পায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। পরে তাকে পিডির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সিভিল সার্কেল-১-এর দায়িত্বে থাকাকালে দুর্নীতি ও খামখেয়ালিপনার প্রমাণ পাওয়ায় হাবিবুর রহমানকে বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে অদৃশ্য কারণে তাকে একের পর এক মেগা প্রকল্পে পিডির দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে খুলনার খানজাহান আলী বিমানবন্দরের উন্নয়ন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ এবং প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান টার্মিনাল সম্প্রসারণ-নবরূপায়ণ এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ।

এতসব অভিযোগ থাকার পরও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি আওয়ামী লীগবিরোধী বলে প্রচার করতে থাকেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে তিনি অবহেলিত ছিলেন বলে পদোন্নতি নেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষমেশ তিনি পদোন্নতি পেয়ে যান। প্রকৌশল বিভাগের সাবেক প্রধান আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুদক তদন্ত করে। তিনিও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকীকে ম্যানেজ করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এই নিয়েও বেবিচকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত ২৭ জানুয়ারি ৮১২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আবদুল মালেক ও হাবিবুর রহমানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে দুদক। গত মঙ্গলবার মামলার ৮ আসামি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এত অভিযোগ থাকার পর গত ২৬ জানুয়ারি হাবিবুর রহমান ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে আবেদন করেন। ইতিমধ্যে বেবিচকের চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদনটি দাখিল করা হলেও তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘একটি জাপানি কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে সমীক্ষা করে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে ২টি জায়গা বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিমানবন্দর নির্মাণে ‘ড্রয়িং ডিজাইন’ করে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয় ধরে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি। সেটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ২টি জায়গার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী একটি নির্বাচন করে দিলেই আমরা বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করতে পারব। এই বিমানবন্দর নির্মাণ হলে বহির্বিশ্বের ফ্লাইট চলাচলের পাশাপাশি রাজস্বও বাড়বে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইয়া বলেন, সমীক্ষা করে ২টি জায়গা চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। এই সমীক্ষা প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ভবিষ্যতে দেশের কাজে লাগবে। অতিরিক্ত ব্যয় ধরার বিষয়ে তিনি বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না, ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে কি না তা দেখা হবে।

সূত্র জানায়, থার্ড টার্মিনালের নকশা পরিবর্তন করে সাশ্রয় হওয়া ১২০০ কোটি টাকার  কোনো হদিস নেই। এছাড়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে ৪৫৫ কোটি, টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের ২৩০০ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে সাড়ে ৫০০ কোটি এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

বেবিচকের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় ইতিমধ্যে আসামি হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক বিমান সচিব মহিবুল হক, যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। আসামিদের মধ্যে তারিক আহমেদ সিদ্দিকী বর্তমানে পলাতক। সাবেক সচিব মহিবুল হককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকারকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক অবসরে গেছেন। তবে এত কিছুর পরও অফিস করছেন হাবিবুর রহমান। সূত্র : দেশ রূপান্তর

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!