• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ শিশু, ফের প্রমাণিত


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৮:৩৬ পিএম
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ শিশু, ফের প্রমাণিত

ঢাকা : টেস্ট ক্রিকেট খেলার ১৯ বছর পার করেও বাংলাদেশ যে শিশু স্তরে রয়েছে সেটি ইন্দোরের হোলকা স্টেডিয়ামে ফের প্রমাণ হলো। একজন তিনবার আরেক জন দুইবার জীবন পেয়েও নিজেদের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না। গুটিয়ে গেল ১৫০ রানেই। জবাব দিতে নেমে ভারত খেলছে ওয়ানডে স্টাইলে। প্রথম দিনেই চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় ভারত জিততে চলেছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কতদিন হয় এখন সেটাই দেখার। পাঁচদিনের ম্যাচে যদি প্রথম দিনেই জয় দেখতে পাওয়া যায় সেই টেস্ট খেলার কী মানে!

কি ব্যাটিং, কি বোলিং, কোথাও সুখবর নেই। পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলা কতটা কঠিন সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন মুমিনুল-মুশফিকরা। বাংলাদেশকে ১৫০ রানে অলআউট করে প্রথম দিন শেষে ভারত ১ উইকেটে তুলেছে ৮৬ রান। চেতশ্বর পূজারা ৪৩ ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন আবু জায়েদ। তিনি রোহিত শর্মাকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। ১৪ বলে ৬ রান করেছেন রোহিত শর্মা। বাংলাদেশের সাফল্য বলতে এতটুকুই।

এর আগে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। চা বিরতির পর বাংলাদেশের ইনিংস টিকেছে মাত্র ৪.৩ ওভার। বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে মোটে ১০ রান, হারিয়েছে হাতে থাকা বাকি ৩ উইকেট। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৫০ রানে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরের হোলকা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম অভিযানে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দেড়শো ছুতেঁ ঘাম ছুটেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ১০ রানে।

প্রথম সেশনে ভারতের তিন পেসারের চোখ রাঙানির মধ্যে বাংলাদেশ তুলেছিল ৩ উইকেটে ৬৩ রান। অধিনায়ক মুমিনুল ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালো। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে তাদের ৬৮ রানের জুটি শেষ হতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে এই সেশনে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৭৭ রান, হারায় ৪ উইকেট। শেষ ৩ উইকেটের পতন হয়েছে তৃতীয় সেশনে।

ভারতীয় ফিল্ডাররা ক্যাচ মিসের মহড়া দিয়েছেন। আজিঙ্কা রাহানে একাই ছেড়েছেন তিনটি ক্যাচ। তারপরও সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মুমিনুল একবার জীবন পেয়ে ৮০ বলে ৩৭ রান করেন। মুশফিক তিনবার বেঁচে গিয়েও ফিফটি তুলে নিতে পারেননি। আউট হন ১০৫ বলে ৪৩ রান করে। সাতে নেমে লিটন দাস করেন ৩১ বলে ২১ রান। তাদের বাইরে দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ।

ভারতের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট পান ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাইজুল ইসলাম হন রানআউট।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!