ঢাকা: তাওহিদ হৃদয় ও তার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এ যেন এক নাটক শুরু হয়েছে। আর প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে সেই নাটকের নতুন নতুন পর্ব!
গত কয়েক দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র হৃদয় এবার চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব মেট্টোপলিস (সিসিডিএম) এ সংক্রান্ত চিঠি মোহামেডানের কাছে পাঠিয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আউট হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখান মোহামেডানের এই অধিনায়ক। এরপর তাকে শুনানিতে ডাকা হলেও আসেননি। পরে ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ লেভেল-১ অপরাধের জন্য হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন, সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয় তার।
আগে থেকেই ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট ছিল হৃদয়ের। এবার ১ যোগ হওয়ায় সেটি হয়েছে ৮। খেলোয়াড়দের জন্য প্রণীত বিসিবি আচরণবিধির ৭.৫ ধারা অনুসারে ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট মানে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। সেই শাস্তিই পাচ্ছেন হৃদয়। যা এখন থেকেই কার্যকর হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন হৃদয়।
পরে সংবাদমাধ্যমে এসে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ‘মুখ খোলার হুমকি’ দেওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে করা হয় দুই ম্যাচ। সঙ্গে দেওয়া হয় ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট।
তবে সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও নাটক কম হয়নি। দুই দফায় তা কমানো ও বাড়ানো নিয়ে বেশ জল ঘোলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল, হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পুরোনো শাস্তিই বহাল থাকবে, তবে এটির কার্যকারিতা পিছিয়ে যাবে এক বছর।
এর আগেই তার শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঘরোয়া ক্রিকেটে আর আম্পায়ারিং না করার কথা জানান শরফৌদ্দোলা।
এসব ঘটনার পর গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে আবার নিজের আউটের পর বিরক্তি প্রকাশ করে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে হৃদয়কে।
এআর