• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমিরাতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৫, ২০২০, ০২:৪৬ এএম
আমিরাতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব

ঢাকা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। তবে এ চুক্তি নিয়ে মিসরসহ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান সরাসরি সমর্থন দিলেও ওসব দেশের নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমিরাতের যুবরাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ওই চুক্তি ঘোষণার পর আমিরাত যুবরাজ একটি টুইট করেন। ওই টুইটে অনেকেই এসে আমিরাত যুবরাজের এ চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

কাদের ইব্রাহিম নামের সোমালিয়ান এক নাগরিক রিটুইটে মোহাম্মদ বিন জায়েদের উদ্দেশে বলেন, ইসরাইলকে গ্রহণের মাধ্যমে আমিরাত ফিলিস্তিনিদের পিঠে চুরিকাঘাত করেছে। এখন অনেক আরব দেশও এটিকে অনুসরণ করবে। ভূরাজনীতিতে এটি একটি বড় পরিবর্তন। আমিরাতের জন্য এ চুক্তি লজ্জাজজনক।

ম্যাক্সিকোর নাগরিক ম্যানুয়াল গ্রেসার ওর্তেগা নামের এক খ্রিস্টান ক্যাথলিক আমিরাত যুবরাজকে রিটুইট করে প্রশ্ন করেন আপনাদের চুরি করা ভূমি কি ওরা ফেরত দেবে?

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থে ফিলিস্তিনি ইস্যুতে বিশ্বাসঘাতকতা করেও আরব আমিরাত একে ফিলিস্তিনিদের জন্য আত্মত্যাগ করার মতো কাজ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে। এটা বিশ্বের পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

তুরস্কের বরাত দিয়ে এএফপি ও গার্ডিয়ান বলছে, আমিরাতের এ ভণ্ডামি কোনো দিনও ক্ষমা পাবে না। এ চুক্তি মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, এ ঘটনার পর ফিলিস্তিনে নিযু্ক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকতে আরব লীগের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ শতাব্দির লেনদেন বা শতাব্দির কথিত সেরা চুক্তি নামক পরিকল্পনারই অংশ বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন। ইসরাইল আশা করছে আরও আরব দেশ শিগগিরই আমিরাতের মত পদক্ষেপ নেবে এবং বাহরাইন হবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় দেশ।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতিসহ বিশ্বের কোনো স্বাধীনচেতা জাতি অবৈধ দখলদার ও অপরাধী ইসরাইলের সঙ্গে তার অপরাধের ভাগীদারদের এই সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়াকে কখনো ক্ষমা করবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদ মুক্ত করার লক্ষ্যে গত সাত দশক ধরে যে প্রতিরোধ সংগ্রাম চলে এসেছে তা আজ হোক কিংবা কাল ইসরাইলসহ তার অপরাধের সকল সহযোগীকে একসঙ্গে গ্রাস করবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অবৈধ ও মানবতাবিরোধী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত চরম বিপজ্জনক কাজ করেছে। এই ঘটনার জের ধরে পারস্য উপসাগরে সম্ভাব্য যেকোনো পরিণতির জন্য আবুধাবিসহ এ অঞ্চলে তার সহযোগী সরকারগুলোকে দায়ী থাকতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিহাস বলে দেবে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনি জাতিসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর পিঠে যে খঞ্জর বসিয়েছে তার পরিণতিতে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ অক্ষ আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবে। সেইসঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার তাবেদার আরব শাসকদের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে জনগণের ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালী হবে।

ইসরালকে অবৈধ ও মানবতাবিরোধী রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে ইরান জানায়, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত চরম বিপজ্জনক কাজ করেছে। এ ঘটনার জের ধরে পারস্য উপসাগরে সম্ভাব্য যে কোনো পরিণতির জন্য আবুধাবিসহ এ অঞ্চলে তার সহযোগী সরকারগুলোকে দায়ী থাকতে হবে।

এদিকে আরব আমিরাত-ইসরাইল চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। ওই চুক্তিকে ফিলিস্তিনসহ পুরো মুসলিম উম্মাহর পিঠে ছুরিকাঘাত বলে উল্লেখ করে সংগঠনটি।

১৯৪৮ সালে ইসরাইলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরাইল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবেলায় ইসরাইলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, এ চুক্তি ফিলিস্তিনিদের কোনো স্বার্থের অনকূলে নয়। এতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে এ চুক্তি ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ষড়যন্ত্রমূলক ছুরিকাঘাত।

হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহুম বলেন, তেলআবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনি জাতির পিঠে ছুরি বসিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত শুধু ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করবে। ফিলিস্তিনি সংগঠন পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটি চুক্তিটিকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট নতুন চুক্তিকে আত্মসমর্পণের সঙ্গে তুলনা করেছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন- ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এ বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে।

এএফপির খবরে বলা হয়, এদিকে নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেছেন, পশ্চিম তীরে দখলের বিষয়টি স্থগিত হয়েছে, তবে তা বাতিল করা হয়নি। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূমির অধিকার ত্যাগ করতে পারব না’।

আবুধাবির সঙ্গে সম্পর্ক বাতিলের হুমকি : ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই দেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান এবং তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে পৌঁছানোর এই ঘটনাকে ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক। অন্যদিকে ইরান বলছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ‘মুসলিম বিশ্বের পিঠে ছুরি চালানো’ হয়েছে।

শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে ইসরায়েল-আমিরাতের শান্তি চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছে তুরস্ক এবং ইরান। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রত্যাহার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম তীরের যেসব এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ স্থগিত করতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোদমে শুরু হবে বলেও জানানো হয়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ‘এই চুক্তি মুসলিম বিশ্বের পিঠে ছুরি মারার’ শামিল বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তেহরান বলছে, এটি আমিরাতের ‘কৌশলগত নির্বুদ্ধিতা’ এবং নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিকে আরও জোরাল করবে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তিটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এটি বাতিল হওয়া উচিত। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমর্থনে এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হওয়ার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ’র কথা এই অঞ্চলের মানুষ কখনও ভুলে যাবে না এবং ক্ষমা করবে না।

ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আবু ধাবিতে দূতাবাস বন্ধ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের পরিকল্পনা বিবেচনা করছে তুরস্ক। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে পৌঁছানোয় এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তার দেশ।

ইরানবিরোধী জোট?

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের একটি অংশ হলো- ইসরায়েল এবং মার্কিন উপসাগরীয় মিত্রদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে নিয়ন্ত্রণ করা।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণে ইসরায়েলকে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়ার বিরুদ্ধে আবু ধাবিকে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য সহযোগী রাষ্ট্রের সরকারকে এই চুক্তির সব ধরনের পরিণতির দায় নিতে হবে।

উপসাগরীয় অঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক এবং সামরিক সংঘাত দিনে দিনে বাড়ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে তেহরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের শীর্ষস্থানীয় সমর্থক আবু ধাবি।

এই চুক্তির সমর্থক কারা?

চুক্তিতে পৌঁছানোর মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম দেশ। এছাড়া মিসর এবং জর্ডানের পর আরব বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পূর্ন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করছে আমিরাত।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনায় এই চুক্তি নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তিন রাষ্ট্রনেতা ইসরায়েল এবং আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছেন।

‘ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা শিগগিরই বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বৈঠক করবেন।’ এছাড়াও শিগগিরই উভয় দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও দূতাবাস স্থাপন করা হবে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলকরণ বন্ধের প্রতিশ্রুতির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের চুক্তির প্রশংসা করেছেন। এই অঞ্চলে চুক্তিটি শান্তি বয়ে আনবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

জর্ডান বলছে, শান্তি প্রক্রিয়াতে এই চুক্তির প্রভাব ইসরায়েল কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তার ওপর নির্ভর করছে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল-সাফাদ বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং অবৈধ পদক্ষেপ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে ইসরায়েল এবং আমিরাতের রাষ্ট্রনেতারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স, এপি।

আরো বহু মুসলিম দেশ এগিয়ে আসবে : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তেল আবিবের সাম্প্রতিক সমঝোতার ফলে মধ্যপ্রাচ্য উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হওয়ার পর নেতানিয়াহু এ দাবি করলেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমিরাতের এই পদক্ষেপের পর আরো বহু মুসলিম ও আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এগিয়ে আসবে।

ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির সঙ্গে তেল আবিবের কলঙ্কজনক সমঝোতাকে তার ভাষায় ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।

আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরলস প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।

শিগগিরই আরব আমিরাত ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

আবুধাবির পক্ষ থেকে এ সমঝোতার ঘোষণা নিশ্চিত করার পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!