• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ১১:৪৯ এএম
করোনাভাইরাসে চীনে  মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই

ঢাকা : বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে চীনে নতুন করে আরও অর্ধশতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ভাইরাসটির শনাক্তস্থলে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। কেবল তাই নয়, চীনের সীমানা পেরিয়ে ভাইরাসটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আরও অন্তত ১৬টি দেশে। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩২ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। উহানে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নামকরা ৬ হাজারের অধিক চিকিৎসকরা জড়ো হয়েছেন। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ বলছে, নতুন করে মারা যাওয়াদের অধিকাংশই উহান প্রদেশের বাসিন্দা। মূলত এখান থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। আর সবমিলিয়ে চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা প্রায় চার হাজারের অধিক।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এ দিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণ শুরু করেছে চীন। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনবিসি।

সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটিতে শয্যা সংখ্যা থাকবে এক হাজার। আর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটিতে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।

অপরদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!