• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘোড়াঘাটে আজও বঙ্গবন্ধুর কোন স্মৃতিস্তম্ভ নেই


ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মার্চ ১৬, ২০২০, ০৩:৩৪ পিএম
ঘোড়াঘাটে আজও বঙ্গবন্ধুর কোন স্মৃতিস্তম্ভ নেই

ঢাকা : “যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কৃতিত্ব তোমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”। স্বাধীনতার ৪৯ বছর চলমান। কিন্তু আজও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোন ম্যুরাল বা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

আগামীকাল থেকে শুরু হবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অন্যতম নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। সারা দেশ রঙ্গিন সাজে সেজেছে জাতির জনকের স্মৃতিস্তম্ভ, ম্যুরাল বা প্রতিকৃতিতে সম্মান জানাতে। তখন ঘোড়াঘাট উপজেলায় সম্মান জানানোর একমাত্র ভরসা প্যানা বা পিভিসিতে প্রিন্ট করা বঙ্গবন্ধুর ছবি অথবা নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী বা বিশেষ কোন দিবসে ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা তাকে শ্রদ্ধা জানায় ও মাল্যদান করে প্যানায় প্রিন্ট করা ছবিতে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছিয়ে দিতে সরকার যখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ নির্মাণের কথা ভাবছে। সেই সময় একটি উপজেলাতে বঙ্গবন্ধুর কোন ম্যুরাল নেই।

নানা বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তিন বার ক্ষমতার মসনদে বসেছে। আর প্রতিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এবং উপজেলা পরিষদ গঠনের পর থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়েছে ৫ বার। তার মধ্যে বিএনপি প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল ২ বার এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ৩ বার। বর্তমানেও এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রাফে খন্দকার শাহানসা। এই দীর্ঘ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও ঘোড়াঘাট উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর মুড়াল স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মনোরঞ্জন মোহন্ত ভুট্টু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের উপজেলায় আজও কোন নির্দিষ্ট জায়গা বা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নেই। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু তা আজও নির্মাণ করা হয়নি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা চাই এই মুজিববর্ষেই জাতির জনকের একটি ম্যুরাল স্থাপন করে দিবে সরকার।

ঘোড়াঘাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুট্টু বলেন, সত্যিই আমাদের দ‍ুর্ভাগ্য! আজও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা প্রিন্ট করা ছবির উপর নির্ভর করি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে জানবে কিভাবে? সরকার ও দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি’র কাছে অতি দ্রুত সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জোড় দাবি জানাচ্ছি।

দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বাংলাদেশের খবর’কে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় সরকারি ভাবে জাতির জনকের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু মাত্র ঘোড়াঘাট উপজেলায় উপজেলা চত্ত্বরের ভিতরে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল নির্মাণাধীন রয়েছে। যার কাজ প্রায় ৬০ ভাগ সম্পূর্ন হয়েছে বলে আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন। আমরা দীর্ঘদিন আগে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে জাতির জনকের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু জায়গাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হওয়ায় তা নির্মান করা হয়নি। যেহেতু, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে গেলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অনুমতি লাগে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আপনারা যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন না করে গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে ঘর করে দিন। তাই আমরা একটি উপজেলায় অধিক ম্যুরাল স্থাপন করছি না।

মুজিব বর্ষেই ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শেষ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর আকৃতি দিতে অনেক সময় লাগে। আমরা কিছুদিন আগেই নির্দেশনা পেয়েছি। তাই মুজিব বর্ষেই ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!