• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুদকের মামলায় ইশরাকের নির্বাচনী কাজে বাধা নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৫:৩৬ পিএম
দুদকের মামলায় ইশরাকের নির্বাচনী কাজে বাধা নেই

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কাজে কোনো বাধা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে যারা নির্বাচন পরিচালনা বা সমর্থন করবেন, তাদের যেন গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়। কিন্তু ওনার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা পুরনো মামলা বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে ইসি সচিব সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, তার (ইশরাক) বিরুদ্ধে এটা একটা দুর্নীতির মামলা। তবে বিষয়টি এ ধরনের না যে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে নয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে, তখন শুনানি দেবেন তারা। ফলে নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো বাধা নেই।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাকে (ইশরাক) গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এমনকি কোনো বাধার সৃষ্টিও করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা নেই।’- 

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সরস্বতী পূজার কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে রায় আসবে, কমিশন তা অবশ্যই মেনে নেবে। আমাদের সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোনো আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেন সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করব, হাইকোর্ট যে সব যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন তারা নিশ্চয়ই যুক্তি শুনবেন। তারপরও তারা (আদালত) যেকোনো সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে।’

শিক্ষার্থীরা আদালতের রায়ের পরে আন্দোলন করছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। হয়তো কেউ পেছন থেকে তাদের বোঝাচ্ছেন যে পূজার দিনে ভোট হচ্ছে অথবা মহামান্য আদালত যে আদেশ দিয়েছেন বুঝে শুনেই দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনও বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই তাদের বোঝানো হচ্ছে না। তাদের হয়তো বলা হচ্ছে, গোপন করে অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই পারেন। কারণ তাদের তো বয়স কম। আমার ধারণা, তাদের এ ভুলটা কেটে যাবে এবং তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

ইসি সচিব আরো বলেন, ‘১ তারিখ (ফেব্রুয়ারির ১) এসএসসি পরীক্ষা, মার্চ স্বাধীনতার মাস, তারপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের নানা রকম প্রোগ্রাম আছে। এরপর এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবেন। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবেন। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা করতেন। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম, কোনো সমস্যা ছিল না। এখন সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেয়ায় সেদিন ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।’

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!