• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পপুলার থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার সেই ‘চুমু খাওয়া’ ডাক্তার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৯, ২০১৯, ০৩:৩৬ পিএম
পপুলার থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার সেই ‘চুমু খাওয়া’ ডাক্তার

ঢাকা: পপুলার হাসপাতালের কোনো শাখাতেই রোগী দেখতে পারবেন না সম্প্রতি যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত চর্ম ও যৌন চিকিৎসক শওকত হায়দার।

হয়রানির শিকার ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত পপুলার হাসপাতালের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ জানান, গত শনিবার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেবার নাম করে তার গালে চুমু খান ডা. শওকত হায়দার। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সমন্বয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমাদের প্রধান শাখাসহ দেশের সবগুলো শাখাতেই প্র্যাকটিস করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই চিকিৎসক আমাদের এখানে একজন ডাক্তারের সাথে চেম্বার ভাগ করে রোগী দেখতেন। আমাদের কোনো কর্মী না। যেহেতু তিনি আমাদের কর্মী না সেহেতু তার বিরুদ্ধে আমরা এর বাইরে আর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবো না।

হাসপাতালের বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে- এই ঘটনার পরও শওকত হায়দার যদি ধানমণ্ডি পপুলারে আসেন, তাতে স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে। এজন্যই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসক।  

অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ডা. শওকতকে দেখাতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান ওই তরুণী। চিকিৎসক তাকে ফোন করে জানান, তিনি পপুলারে নেই, পাশের সিটি ব্যাংক ভবনের লিফটের ২-এ আছেন। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসক তরুণীকে ইনজেকশন দেয়ার সময় আপত্তিকর আচরণ করেন। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। তরুণী নিজেকে ছাড়িয়ে নেন। বাইরে বের হওয়ার সময় চিকিৎসক তার গালের ইনফেকশন দেখতে চান। ইনফেকশন দেখার ছলে ডাক্তার ওই তরুণীর গালে চুমু খান। এরপর তরুণী বাসায় গিয়ে বোনকে সব বলেন।

চিকিৎসককে ফোন দেয়া হলে তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ফোনালাপ বর্তমানে ফেসবুকে ভাইরাল।  

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক শওকত হায়দার কোনো সরকারি চাকরি করেন না। তার বাড়ি যশোরে। শুক্র-শনিবার ছাড়া অন্য দিনগুলোয় তিনি পপুলার হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় রোগী দেখতেন।

চুমু খাওয়া সেই ডাক্তারকে সরিয়ে দিল পপুলার : ইনফেকশন দেখার ছলে তরুণী রোগীর গালে চুমু খাওয়া সেই চিকিৎসক শওকত হায়দারকে অবশেষে সরিয়ে নিয়েছে পপুলার হাসপাতাল ধানমণ্ডি শাখার কর্তৃপক্ষ। তবে তিনি পপুলারের উত্তরা শাখা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শাখায় কাজ করবেন বলে পপুলার হাসপাতালের বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরে পপুলার হাসপাতালের ধানমণ্ডি শাখায় ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার শিকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে- চিকিৎসা শেষে বাইরে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের চিকিৎসক শওকত হায়দার তার গালের ইনফেকশন দেখতে চান। ইনফেকশন দেখার ছলে ডাক্তার ওই তরুণীর গালে চুমু খান।

হাসপাতালের বিশ্বস্ত সূত্র বলছে- এই ঘটনার পরও শওকত হায়দার যদি ধানমণ্ডি পপুলারে আসেন, তাতে স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে। এজন্যই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসক।  

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান, পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ।  

অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ডা. শওকতকে দেখাতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান ওই তরুণী। চিকিৎসক তাকে ফোন করে জানান, তিনি পপুলারে নেই, পাশের সিটি ব্যাংক ভবনের লিফটের ২-এ আছেন। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসক তরুণীকে ইনজেকশন দেয়ার সময় আপত্তিকর আচরণ করেন। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। তরুণী নিজেকে ছাড়িয়ে নেন। বাইরে বের হওয়ার সময় চিকিৎসক তার গালের ইনফেকশন দেখতে চান। ইনফেকশন দেখার ছলে ডাক্তার ওই তরুণীর গালে চুমু খান। এরপর তরুণী বাসায় গিয়ে বোনকে সব বলেন। 

চিকিৎসককে ফোন দেয়া হলে তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ফোনালাপ বর্তমানে ফেসবুকে ভাইরাল। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!