• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
আবরার হত্যা নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ দূতকে তলব


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ দূতকে তলব

ঢাকা : বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিবৃতি দেয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোকে রোববার ডেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ও এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ‘তৎপরতার সাথে ব্যবস্থা’ নিয়েছে এবং নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জাতিসংঘ অনুবিভাগ) মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের দপ্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। তবে বৈঠকের পর তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার তথ্যের বরাতে জানা যায়, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের ঢাকা অফিস যে বিবৃতি দিয়েছিল, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় আবাসিক প্রতিনিধির কাছে। এ সময় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে দুটি বিষয়ে অবগত করেছেন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রথমত, মুক্তভাবে নিজের মতপ্রকাশের জন্য বুয়েট ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে, যা সঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকী আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেইসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারের ধারণায় ছিল না।

আর দ্বিতীয়ত, উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন।

গত ৫ অক্টোবর দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তির প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডির ওয়ালে সমালোচনাপূর্ণ মন্তব্য প্রকাশ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।

এর পরদিন রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।  

গত বুধবার এক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানানো হয় জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে।

প্রকাশিত এই বিবৃতির ব্যাখ্যা চেয়ে পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় মিয়া সেপ্পোকে। রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তলবের বিষয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি জাতিসংঘের এই আবাসিক প্রতিনিধি।

এ বিষয়ে পরবর্তীতে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না, সে প্রসঙ্গে কোনো অগ্রিম তথ্য জানা যায়নি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!