• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পীরের দরগায় প্রবেশের দাবিতে মুসলিম নারীদের আন্দোল


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৯, ২০১৬, ০৭:১৯ পিএম
পীরের দরগায় প্রবেশের দাবিতে মুসলিম নারীদের আন্দোল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের মুম্বাইয়ের বিখ্যাত হাজী আলি দরগায় নারীদের প্রবেশাধিকারের দাবীতে সেখানে আন্দোলন করছে একটি মুসলীম নারী সংগঠন।

গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকশো নারী এই দাবী নিয়ে বিক্ষোভও করেছেন।

মহারাষ্ট্রের একটি হিন্দু মন্দিরের গর্ভগৃহে নারীদের প্রবেশের দাবী ওঠার মধ্যেই মুসলমান নারীরা দরগায় প্রবেশাধিকার চেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মুসলিম নারীরা।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীরা বলছেন, দরগায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়াটা ধর্ম বা ঐতিহ্য নয়, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা।

ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন নামের একটি সংগঠন, যারা এই ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছে, তাদের কথায়, সংবিধানে সবাইকে সমানাধিকার দেওয়া হয়েছে আর মুসলমানরা ভারতের সংবিধান মেনে চলে। তাহলে কেন নারী পুরুষের জন্য আলাদা নিয়ম!

সংগঠনটির অন্যতম প্রধান জাকিয়া সোমান বিবিসি বাংলাকে জানায়, একদিকে যখন হিন্দু নারীরা তাদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করছেন, একই সময়ে মুসলমান নারীরাও দরগায় প্রবেশাধিকার চেয়ে রাস্তায় নামলেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এটা নারীদের অধিকারের দাবী।

অন্যদিকে হাজি আলি দরগা ট্রাস্ট বলছে, এটা একজন মুসলমান পুরুষের মাজার। পুরুষের মাজারের কাছাকাছি নারীদের যেতে দেওয়া যায় না।

হাজি আলির দরগায় নারীদের কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না, এই নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেছে ওই সংগঠনটি। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে কেরালার বিখ্যাত হিন্দু তীর্থস্থান সবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশের অধিকার নিয়ে দায়ের হওয়া মামলাতে কী রায় দেয়, সেটা দেখার পরেই হাজি আলি দরগা নিয়ে তারা নির্দেশ দেবে।

আদালত বলেছে দুটি মামলাই যেহেতু ধর্মীয় স্থানে নারীদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত, তাই তারা সুপ্রীম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে চায়।

দরগায় প্রবেশের দাবী নিয়ে মুসলমান নারীদের ওই বিক্ষোভের কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের হিন্দু নারীরাও একটি মন্দিরের গর্ভগৃতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

আহমেদনগর জেলার শনি সিঙনাপুর নামের ওই হিন্দু মন্দিরে ঢোকার জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো নারী যখন মন্দিরটির দিকে এগোচ্ছিলেন, তখন পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ – যাঁদের একটা বড় অংশ আবার নারী, তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দেন।

 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রধান একজন নারী। তিনিও ৪০০ বছরের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী গর্ভগৃহে নারীদের প্রবেশ করতে দিতে নারাজ।

 

Wordbridge School
Link copied!