• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে মাকে ফেলে পালিয়েছে মেয়ে!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক জুন ১১, ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম
বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে মাকে ফেলে পালিয়েছে মেয়ে!

ঢাকা: বয়স ৬০ কিংবা ৮০। কলকাতার হাবড়া রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে এই বৃদ্ধাকে দেখতে পান কলকাতার এক নারী চাকরিজীবী। পরিষ্কার বাংলায় কথা বলছেন, যথেষ্ট মার্জিত শব্দচয়ন। বৃদ্ধার বক্তব্য অনুযায়ী তার মেয়ে পট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে যান। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে নেয়া হয়েছে। তার মেয়ে পানি আনার কথা বলে আর ফেরত আসেনি।

কলকাতার মেয়ে আমবুজা রাওয়াত তার ফেসবুকে ওয়ালে এভাবেই লিখেছেন বৃদ্ধার ছবি দিয়ে। তিনি তার ফেসবুকে লেখেন ...

পরিষ্কার বাংলায় কথা বলছেন, যথেষ্ট মার্জিত শব্দচয়ন।

দিদার বক্তব্য অনুযায়ী ওনার মেয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে নিয়ে আসেন। কলকাতায় ডাক্তার দেখানোর নাম করে হাবড়া স্টেশনে নামতে বলেন এবং ওনাকে বসতে বলে জল আনতে যান। ওটাই নিজের পেটের মেয়ের সাথে ওনার শেষ কথা। তারপর ১০০ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে এবং দিদার আশঙ্কা নিশ্চিত হয়েছে। দু-একজনের খাবারসহ বাড়িয়ে ধরা অস্থায়ী হাত সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়।

বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে; প্রথমত, দিদার কাছে হয়ত কোনো সচিত্র পরিচয়পত্র নেই। যে মেয়ে দেশের বেড়া টপকে ভিনদেশের ভিনগাঁয়ে মা কে ছেড়ে যায়, সে আর যাই হোক, ভোটার কার্ড বা অন্যান্য legal documents যে গুছিয়ে মার আঁচলে বেঁধে দেবে না, তা পাগলেও জানে।
দ্বিতীয়ত, ওনার মত বৃদ্ধাদের ঠিক কোথায় রাখা হয়, আমার জানা নেই।

তৃতীয়ত, দিদার হয়ত সময়ের হিসেব গুলিয়ে গেছে, কারণ, মাত্র চারদিনে কারও জামা-কাপড় এত মলিন হয় কি?

চতুর্থত, কয়েকদিন ধরে ঠা ঠা রোদে বসে আছেন, dehydration এর লক্ষণ স্পষ্ট। প্রাথমিক চিকিৎসার আসু প্রয়োজন।

আমবুজা এই লেখাটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, "এমন তো আজকাল ঘটছে" বলে এড়িয়ে যেতে পারেন, কিন্তু যদি মনে হয় "ওমুক কে একবার জানালে কিছু help হত..." প্লিজ় inbox করুন, copy করুন, share করুন, নিজের লেখা বলে চালিয়ে নিজেকে দরদী প্রমাণ করুন, but do it. Please ...

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!