• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস আজ

ভাতা পাচ্ছেন ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ০৪:০৫ পিএম
ভাতা পাচ্ছেন ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী

ঢাকা : এখনো দেশে নানা ক্ষেত্রে হয়রানি হতে হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের। নিজের বাড়ি থেকে শুরু হয় এই হয়রানি। রাস্তায় চলাচলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- সবক্ষেত্রে তাদের হয়রানির শেষ নেই। গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিবন্ধীবান্ধব করা যায়নি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য উদ্যোগ এবং আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে বিগত এক দশকে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হবে। একই সঙ্গে আজ ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসও।

জানা গেছে, সরকার ২০০১ সালে প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন-২০০১ প্রণয়ন করে। এর আওতায় বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১. শ্রবণ প্রতিবন্ধী, ২. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ৩. বাক প্রতিবন্ধী, ৪. বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৫. শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন করা হয় ২০১৩ সালে।

২০০৫ সাল থেকে সরকার প্রতিবন্ধী অসচ্ছলদের ভাতা প্রদান শুরু করে। প্রতিবন্ধীদের সাংবিধানিক ও আইনগত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। করা হয় নীতিমালা।

শুরুতে ২০০ টাকা করে জনপ্রতি ভাতা দেওয়া হতো। ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪ হাজার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা।

সরকারের হিসাব বলছে, বর্তমানে ১৫ লাখের বেশি অসচ্ছল প্রতিবন্ধী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মাসিক ৭৫০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন।

এজন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রায় দ্বিগুণ। উল্লিখিত সময়ে ভাতার জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরে এই খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৮৪০ কোটি টাকা। মাসিক ভাতার পরিমাণ ছিল ৭০০ টাকা। ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। এক বছরের ব্যবধানে ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৫ লাখ।

অন্যদিকে সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষা সহায়তা দিচ্ছে ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শুরুতে ১২ হাজার ২০৯ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এই ভাতা পাওয়া শুরু করে। প্রাথমিক স্তরে এই ভাতার পরিমাণ ৩০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে সাড়ে ৪০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১ হাজার টাকা।

বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৪১ জন। বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২০ করা হয়েছে। আর বার্ষিক বরাদ্দ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এক লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ করা হয় ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে অতিরিক্ত সময় পাচ্ছেন। তবে বর্তমানে ৩০ মিনিট সময় অতিরিক্ত দেওয়া হলেও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যারা কাজ করেন তারা এটি পর্যাপ্ত নয় বলে মত দিয়ে আসছেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে বেলা এগারোটায় এই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ কথা বলবেন। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!